কোনও পূর্বশর্ত এবং তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই আবার যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইউক্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় বসবে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা, সে দেশের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিব সের্গেই শোইগু বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছে। রুশ সংবাদ সংস্থা ‘তাস’কে তিনি বলেন, ‘‘আবার তুরস্কের ইস্তানবুলে মুখোমুখি বৈঠক হতে পারে।’’
তিন বছর যুদ্ধের পরে প্রথম বার কোনও মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই গত ১৭ মে মুখোমুখি আলোচনায় বসেছিল দু’পক্ষ। যুদ্ধবিরতি নিয়ে ঐকমত্য না-হলেও তুরস্কের ইস্তানবুলের রয়্যাল প্যালেসে আয়োজিত ওই বৈঠকে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মস্কো এবং কিভ। দু’পক্ষই ১০০০ জন করে যুদ্ধবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, চলতি সপ্তাহেই তা পালিত হয়েছে। এই আবহে ইস্তানবুলে দ্বিতীয় বার মুখোমুখি বৈঠকে বসতে চলেছে যুযুধান দুই দেশ। ইউক্রেনের তরফে আগেই বৈঠকের সওয়াল করা হয়েছিল। মস্কো এ বার জানাল, ইস্তানবুলে তারা বৈঠক চায়।
আরও পড়ুন:
ইস্তানবুল বৈঠকের পরে জ়েলেনস্কি সরকারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, রাশিয়ার অনমনীয় মনোভাবের কারণেই যুদ্ধবিরতি নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি বৈঠকে। ঘটনাচক্রে, ওই বৈঠকের পরেই রুশ আক্রমণের অভিঘাত আরও তীব্র হয়েছে। ভ্লাদিমির পুতিনের বাহিনী ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণে থাকা কুর্স্ক অঞ্চল পুনরুদ্ধার করেছে। এমনকি, ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ডনেৎস্কের বিস্তীর্ণ এলাকা হাতছাড়া হয়েছে ভলোদিমির জ়েলেনস্কির ফৌজের। অতীতে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের প্রতি বন্ধুত্ব প্রকাশ করলেও সম্প্রতি রাশিয়ার বিধ্বংসী হামলার পরে তাঁকে নিশানা করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘‘ওঁর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।’’ যুদ্ধবিরতির জন্য পুতিনকে দু’সপ্তাহের ‘সময়সীমা’ও দেন ট্রাম্প। পাশাপাশি, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জ়েলেনস্কির সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।