মধ্য ইউক্রেনে প্রবেশ করে গিয়েছে রুশ সেনা! রবিবার এমনটাই দাবি করল ক্রেমলিন। গত তিন বছর ধরে চলে আসা রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে এই প্রথম বার ইউক্রেনের মধ্যভাগে পৌঁছে গেল রুশ বাহিনী।
পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাস (ডনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলকে একত্রে এই নামে ডাকা হয়) আসলে ইউক্রেন ভূখণ্ডের ওই অংশের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাসিন্দাই জাতিগত ভাবে রুশ। তাঁদের তৈরি মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলি সক্রিয় ভাবে মস্কোর পক্ষে লড়াই করছে সেখানে। ডনেৎস্ক অঞ্চলের একটি বড় অংশ আগেই দখল করে নিয়েছিল রুশ বাহিনী। এ বার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের দাবি, ডনেৎস্ক সংলগ্ন নিপ্রো শহরের সীমানায় পৌঁছে গিয়েছে রুশ সেনার ৯০তম ট্যাঙ্ক ডিভিশন। তাদের দাবি, নিপ্রো শহরের সীমানা থেকে আরও ভিতরের দিকে প্রবেশ করতে শুরু করেছে রুশ বাহিনী।
বস্তুত, গত কয়েক মাস ধরেই মধ্য ইউক্রেনের নিপ্রোয় প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছিল রুশ বাহিনী। এ বার তারা প্রথম বারের মতো মধ্য ইউক্রেনীয় অঞ্চল নিপ্রোয় প্রবেশ করে গিয়েছে বলে দাবি রাশিয়ার। যদিও শহরটি তারা দখল করে নিয়েছে, এমন দাবি এখনও করেনি ক্রেমলিন। রুশ সেনা নিপ্রো শহরের দখল নিলে ইউক্রেনের সেনার জন্য তা নতুন করে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:
ডনবাস অঞ্চলে সক্রিয় মস্কো-পন্থী মিলিশিয়া গোষ্ঠীগুলির সহায়তায় ইউক্রেন ফৌজের অবস্থানের উপর সাম্প্রতিক কালে স্থলপথে বার বার হামলা চালিয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সেনা। পাশাপাশি, ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হামলাও চলেছে। এই অবস্থায় মধ্য ইউক্রেনের নিপ্রো রুশ বাহিনীর হাতে চলে এলে, তা কৌশলগত ভাবে ক্রেমলিনকে কিছুটা সাহায্য করতে পারে।
এক সপ্তাহ আগেই গত রবিবার রাশিয়ায় ড্রোন হানা চালিয়েছিল ইউক্রেন। গত তিন বছরের যুদ্ধে সেটিই ছিল রাশিয়ার উপর ইউক্রেনের সবচেয়ে বড় হামলা। বেশ কিছু রুশ বায়ুসেনা ঘাঁটিতে বোমারু বিমানের উপর আঘাত হানে ইউক্রেনের ড্রোন। বিভিন্ন সূত্রে দাবি, ওই হানায় ৪০টিরও বেশি রুশ যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউক্রেনের দাবি, তারা ১১টি রুশ বিমান ধ্বংস করে দিয়েছে ওই ড্রোন হানায়। ওই ঘটনার পরে ক্রেমলিনও জানিয়ে দিয়েছিল, রুশ সেনা সঠিক সময়ে জবাব দেবে। তার পর গত দু’দিন ইউক্রেনের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ শহরে হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। শুক্রবারই ইউক্রেনের রাজধানী কিভে ড্রোনহানা চালায় রুশ সেনা। শনিবার হামলা চলে ইউক্রেনের অপর গুরুত্বপূর্ণ শহর খারকিভে।