আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেসে ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছেন ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যেরা। ক্যালিফর্নিয়ার গভর্নর গভিন নিউসমের দফতর থেকে জানানো হয়েছে, শহরের তিনটি অঞ্চল মিলিয়ে ন্যাশনাল গার্ডের প্রায় ৩০০ সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। গত কয়েক দিন ধরে এই শহরে বিক্ষোভ চলেছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধেই মূলত বিক্ষোভ। সেই বিক্ষোভ ঘিরে শনিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে লস অ্যাঞ্জেলেস। পরিস্থিতি সামলাতে সেখানে ২০০০ ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প।
প্রাথমিক ভাবে জানা যাচ্ছে, লস অ্যাঞ্জেলেস এবং ওয়েস্টউডে বিভিন্ন সরকারি ভবনগুলির সামনে ন্যাশনাল গার্ডকে মোতায়েন করা হয়েছে। অভিবাসন দফতরের আধিকারিকদের কাজে বাধা দিলে, তার ফল ভাল হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে ট্রাম্পের প্রশাসন। আমেরিকার তদন্তকারী সংস্থা এফবিআইয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর ড্যান বংগিনো জানিয়েছেন, লস অ্যাঞ্জেলেস এবং নিউ ইয়র্ক শহরে অভিবাসন আধিকারিকদের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে অনেককে গ্রেফতার করা হয়েছে। সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, “আপনি হিংসার পথ বেছে নিলে তার ফল ভাল হবে না। তাই বিচক্ষণতার সঙ্গে নিজের পথ বাছুন।”
বস্তুত, ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকেই আমেরিকা থেকে অবৈধ অভিবাসীদের তাড়ানোর জন্য তৎপর হয়েছেন। গত কয়েক দিনে লস অ্যাঞ্জেলেস-সহ ক্যালিফর্নিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন দফতরের আধিকারিকেরা হানা দেন। অনেককে গ্রেফতারও করা হয়। শুক্রবার থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত অভিবাসন দফতর ১১৮ জনকে গ্রেফতার করেছে। এই ধরপাকড়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে এবং বিক্ষোভের তেজ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে ২০০০ ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় হোয়াইট হাউস।
যদিও আমেরিকার হোমল্যান্ড সিকিউরিটি দফতরের সচিব ক্রিস্টি নিয়মের দাবি, বিক্ষোভ যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে চলে সেই কারণেই ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে। আমেরিকার এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, এই ধরনের ভিড়কে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ রয়েছে ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের। ক্রিস্টির বক্তব্য, অভিবাসন দফতরের অভিযানে নিরাপত্তা দেওয়া এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ নিশ্চিত করার জন্যই শহরে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হচ্ছে। তবে লস অ্যাঞ্জেলেসের রাস্তায় ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের ঠিক কী ভূমিকা থাকবে, তা স্পষ্ট করে উল্লেখ করেননি তিনি।