ড্রোন হানার জবাব দেওয়া হবে ইউক্রেনকে। বৃহস্পতিবার তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের বক্তব্য, সঠিক সময়ে ইউক্রনে প্রত্যাঘাত করবে রুশ সামরিক বাহিনী। বুধবারই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। রাশিয়ার দাবি, ওই সময়ে পুতিন ট্রাম্পকেও জানিয়ে দিয়েছেন যে প্রত্যাঘাত অবশ্যম্ভাবী।
গত রবিবারই রাশিয়ায় ড্রোন হানা চালিয়েছিল ইউক্রেন। বেশ কিছু রুশ বায়ুসেনা ঘাঁটিতে বোমারু বিমানের উপর আঘাত হানে ইউক্রেনের ড্রোন। মুরমানস্ক, ইরকুটস্ক, ইভানোভো, রিয়াজান এবং আমুর অঞ্চলের মোট পাঁচটি সামরিক বিমানঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চলেছিল। বিভিন্ন সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, ওই হানায় ৪০টিরও বেশি রুশ যুদ্ধবিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইউক্রেনের দাবি, তারা ১১টি রুশ বিমান ধ্বংস করে দিয়েছে ওই ড্রোন হানায়। গত তিন বছর ধরে চলে আসা রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে এটি রাশিয়ার উপর অন্যতম বড় হামলা।
এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ফের রাশিয়ার উপর হামলা চালায় ইউক্রেন। কিভের দাবি, ওই হামলায় তারা রাশিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার গুঁড়িয়ে দিয়েছে এবং আরও দু’টি লঞ্চার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ধ্বংস করতেই ওই হামলা বলে দাবি ইউক্রেনের। বৃহস্পতিবারের হামলায় ইউক্রেন রাশিয়ার দক্ষিণ প্রান্তে বেশ কিছু রেল সেতু ভেঙে উড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ মস্কোর। ওই হামলায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভের অভিযোগ, ইউক্রেন সন্ত্রাস চালাচ্ছে। যদিও রেলসেতুতে হামলার কোনও দায় নেয়নি ইউক্রেন।
আরও পড়ুন:
ঘটনাচক্রে, বুধবার ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপের কয়েক ঘণ্টা পরেই ইউক্রেনের উত্তর প্রান্তে প্রুলুকি শহরে ড্রোন হামলা চালায় রাশিয়া। বৃহস্পতিবারের ওই রুশ হানায় এক শিশু-সহ পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের।