যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন। ছবি: রয়টার্স
প্রথমে স্বামীকে খুন। তার পর ছেলের উপস্থিতিতেই তাঁকে ধর্ষণ। রাশিয়ার সৈন্যদের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ আনলেন ইউক্রেনের এক মহিলা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টির তদন্ত করছে ইউক্রেন প্রশাসন।
মহিলার অভিযোগ, গত ৯ মার্চ রুশ সেনারা জোর করে তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করে প্রথমে তাঁর পোষা কুকুরকে গুলি করে মারে। একটি সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মহিলা বলেন, ‘‘আমি প্রথমে একটি গুলি চলার আওয়াজ পাই। এর পরই গেট খোলার শব্দ হয় এবং তার পর বাড়ির ভিতরেও পায়ের শব্দ শুনতে পাই।’’
এর পর রুশ সেনা তাঁর স্বামীকে হত্যা করে বলে অভিযোগ মহিলার। তিনি বলেন, ‘‘আমি চিৎকার করে আমার স্বামী কোথায় তা জিজ্ঞেস করি। তার পর আমি আমার স্বামীর নিথর দেহ বাড়ির দরজার সামনে পড়ে থাকতে দেখি। এর পর এক রুশ সেনা আমার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে বলে আমার স্বামী নাৎসি এবং সেই কারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছে।’’
তিনি জানান, রুশ সেনারা এর পর তাঁকে বন্দুক দেখিয়ে ভয় দেখায় এবং চিৎকার করলে তাঁকেও খুন করা হবে বলে হুমকি দেয়। মহিলার অভিযোগ, এর পর তাঁকে ধর্ষণ করে দুই রুশ সেনা। তখন তাঁর সন্তান পাশের একটি ঘরেই চিৎকার করে কাঁদছিল।
ওই মহিলা ইতিমধ্যেই দেশ ছেড়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমি আমার স্বামীর শেষকৃত্য গ্রামে যেতে পারিনি। কারণ আমাদের গ্রাম এখনও রুশ সেনাদের দখলে রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy