ফাইল চিত্র।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির আশঙ্কা, শীতের মরসুমে নতুন করে বিধ্বংসী হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। এই পরিস্থিতিতে সোমবার তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে এক বক্তৃতায় বলেন, ‘‘বিদ্যুতের সরবরাহ কম থাকায় আমাদের সকলকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’’
গত কয়েক মাসে ইউক্রেন সেনার প্রত্যাঘাতে দক্ষিণের খেরসন, মাইকোলিভ এবং উত্তর-পূর্বে খারকিভ-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পিছু হটতে শুরু করেছে রুশ বাহিনী। পেন্টাগন প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দাবি, যুদ্ধের প্রথম ৮ মাসে প্রায় আশি হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বাহিনী আর কত দিন যুদ্ধ চালিয়ে যেতে পারবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে সামরিক পর্যবেক্ষকদের অনেকেরই।
এই পরিস্থিতিতে মরিয়া পুতিন বাহিনী ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলিতে ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। উদ্দেশ্য স্পষ্ট— শীতের শুরুতেই তুষারপাতের জেরে বরফে ঢেকে যাচ্ছে ইউক্রেন। বিদ্যুৎ ছাড়া জীবনধারণ অসম্ভব। সম্প্রতি, একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, রুশ হামলার কারণে ইউক্রেনের প্রায় ১ কোটি বাসিন্দা বিদ্যুৎ সঙ্কটের মুখে পড়েছেন। বরফে ঢাকা পড়া বাড়ির রুম হিটার কাজ করছে না। পানীয় জলের লাইন অকেজো।
রাশিয়ার এই কৌশল বুঝে গত সপ্তাহে জ়েলেনস্কি জানিয়েছিলেন, দেশ জুড়ে বিশেষ আশ্রয় শিবির খোলা হবে। সেখানে বিদ্যুৎ থাকবে, ঘর গরম রাখার ব্যবস্থা থাকবে, জল, ইন্টারনেট, মোবাইল নেটওয়ার্ক, ওষুধ, বিনামূল্যে যন্ত্রপাতি চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। সেই মতো আমেরিকা-সহ পশ্চিমী দেশগুলির সহায়তায় আশ্রয়শিবির খোলার কাজও শুরু হয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন সরকার কত জনের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে পারবে তা নিয়ে সন্দিহান পশ্চিমী দুনিয়া।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy