Advertisement
E-Paper

ফের রুশ হ্যাকারদের নিশানায় আমেরিকা

আজ মাইক্রোসফ্‌ট একটি রিপোর্টে জানিয়েছে, মার্কিন কনজ়ারভেটিভ থিঙ্ক ট্যাঙ্ক অর্থাৎ কিছু শীর্ষ স্থানীয় রিপাবলিকান নেতার ব্যক্তিগত তথ্য হাতানোর চেষ্টায় ছিল রুশ সেনা দফতরের গোয়েন্দা বিভাগের হ্যাকাররা।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২২ অগস্ট ২০১৮ ০৩:১৩

২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে রাশিয়া আদৌ হস্তক্ষেপ করেছিল কি না, তা নিয়ে তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। এর মধ্যেই আজ মাইক্রোসফ্‌ট একটি রিপোর্টে জানিয়েছে, মার্কিন কনজ়ারভেটিভ থিঙ্ক ট্যাঙ্ক অর্থাৎ কিছু শীর্ষ স্থানীয় রিপাবলিকান নেতার ব্যক্তিগত তথ্য হাতানোর চেষ্টায় ছিল রুশ সেনা দফতরের গোয়েন্দা বিভাগের হ্যাকাররা। এমনকি রুশ হ্যাকারদের নিশানায় ছিল মার্কিন সেনেটও। তবে সেই চেষ্টা গত সপ্তাহেই বানচাল করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ওই তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা। আগামী নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই হ্যাকাররা এই সব তথ্য হাতানোর চেষ্টায় ছিল বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ছ’টি ভুয়ো রুশ ওয়েবসাইটকে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে মাইক্রোসফ্‌ট। কিন্তু এর ফাঁকেই নির্বাচন সংক্রান্ত কোনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হ্যাকারদের নাগালে চলে গিয়েছে কি না, তা নিয়ে মুখ খোলেননি মাইক্রোসফ্‌টের কর্তারা।

মার্কিন ওই তথ্য প্রযুক্তি সংস্থাটির তরফে জানানো হয়েছে, রুশ হ্যাকিং গোষ্ঠী জিআরইউ এই সবের মূলে রয়েছে। ২০১৬-র নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনের প্রচার সচিবের তথ্য হাতানোর ক্ষেত্রেও এই একই হ্যাকার গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। মাইক্রোসফ্‌ট জানিয়েছে, মার্কিন সেনেটের ওয়েবসাইট হুবহু নকল করে রুশ হ্যাকাররা অন্য একটি ভুয়ো ওয়েবসাইট বানিয়েছিল। একই ভাবে রিপাবলিকানদের সংগঠন ‘হাডসন ইনস্টিটিউট’ এবং ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট’-এর আদলেও তৈরি করা হয় ওয়েবসাইট। উদ্দেশ্য ছিল ভুয়ো ওয়েবসাইট আর ইউআরএল-এর মাধ্যমে রিপাবলিকান নেতাদের পাসওয়ার্ড থেকে শুরু আরও নানা গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর তথ্য হাতিয়ে নেওয়া। এই সংগঠনগুলির মধ্যে ‘দ্য ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট’-এর সদস্য হলেন ছয় মার্কিন সেনেটর। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন মিট রোমনি থেকে শুরু করে এইচ আর ম্যাকমাস্টারের মতো তাবড় নেতারা।

গত সপ্তাহেই জানা গিয়েছিল, মার্কিন কংগ্রেসের দুই ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থীর ওয়েবসাইটও হ্যাক হয়েছিল এবং তাঁরা দু’জনেই প্রাথমিক পর্বের নির্বাচন হেরে যান। মাইক্রোসফ্‌ট ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, হ্যাকারদের হাত থেকে মার্কিন রাজনৈতিক দলগুলি এবং নেতাদের বাঁচাতে তারা সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে আরও সতর্ক হচ্ছে। যদিও গোটা অভিযোগ নিয়ে এখনও মুখ খোলেনি পুতিন সরকার।

এর মধ্যেই আবার ২০১৬ সালের নির্বাচনী তদন্ত নিয়ে মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত কাল এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, মার্কিন নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ নিয়ে বিশেষ কাউন্সেল রবার্ট ম্যুলারের কাছে তিনি মুখ খুললে আদালতে তিনি মিথ্যা ভাষণের দায়ে পড়তে পারেন। ওই নির্বাচনে রাশিয়া সরকার হস্তক্ষেপ করে ট্রাম্পকে জিতিয়ে দিয়েছিল কি না, তা নিয়ে তদন্ত করছেন ম্যুলার।

Russia Hackers Microsoft US Thinktank Donald Trump
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy