Russian social media influencer Marina Balmasheva married her stepson after splitting from his fathe
সৎছেলেকে বিয়ে করলেন রাশিয়ার এক সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার, ভাইরাল সেই বিয়ের ভিডিয়ো
অ্যালেক্সির সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও সৎছেলে ভ্লাদিমিরের সঙ্গে মারিনার নতুন এক সম্পর্ক তৈরি হয়। সেখান থেকে তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্তও নেন। এখন জানা গিয়েছে যে মারিনার গর্ভে ভ্লাদিমিরের সন্তানও এসেছে।
সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২০ ১৮:৪২
মারিনা ও ভ্লাদিমির। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া।
রাশিয়ার এমন একটি সম্পর্ক সামনে এল যা শুনলে আপনি চমকেও যেতে পারেন। রাশিয়ার ক্রাসনোদার ক্রাই-এ বসবাস করেন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার মারিনা বালমাশেভা। তিনি সম্প্রতি তাঁর সৎছেলেকে বিয়ে করলেন। ফলে এতদিন যিনি তাঁর কার্যত সন্তান ছিলেন এখন তিনিই তাঁর স্বামী। এমনকি নতুন এই সম্পর্কে তাঁরা একটি সন্তানেরও জন্ম দিতে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে।
২০০৭ সালে অ্যালেক্সি নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় মারিনার। অ্যালেক্সির এর আগে একটি বিয়ে ছিল। সেই বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পর মারিনা তাঁর জীবনে আসেন। মারিনার সঙ্গে যখন বিয়ে হয় তখন অ্যালেক্সির দু’টি ছেলে ছিল, যার মধ্যে এক জন সাত বছরের ভ্লাদিমির ‘ভয়া’ শেভিরিন অ্যালেক্সি ও মারিনা এক দশকের বেশি সময় ধরে সংসার করেন। এমনকি তাঁরা চারটি সন্তান দত্তকও নেন। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের দাবি মারিনা নিজের গর্ভে সন্তান চাইছিলেন। কিন্তু কোনও কারণে তা সম্ভব হয়নি। তা নিয়েই নাকি সম্পর্কে ফাটল ধরে। শেষ পর্যন্ত এক দশকের বেশি সেই দাম্পত্য ভেঙে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন মারিনা এবং অ্যালেক্সি।
অ্যালেক্সির সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গেলেও সৎছেলে ভ্লাদিমিরের সঙ্গে মারিনার নতুন এক সম্পর্ক তৈরি হয়। সেখান থেকে তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্তও নেন। এখন জানা গিয়েছে যে মারিনার গর্ভে ভ্লাদিমিরের সন্তানও এসেছে। তাঁরা নাকি এই বছর গোড়ার দিকেই বিয়ে করবেন ঠিক করেছিলেন। কিন্তু কোরনার অতিমারির জেরে তা সম্ভব হয়নি। অবশেষে তাঁর রেজিস্ট্রি অফিসে সই সাবুদ করে আইনত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
অ্যালেক্সির বয়স এখন ৪৫ বছর আর মারিনার ৩৫। ভ্লাদিমির যাকে মারিনা প্রায় সাত বছর বয়স থেকে দেখাশোনা করছেন সে এখন ২০ বছরে যুবক। অ্যালেক্সি বাকি মোট পাঁচ সন্তানকে নিজের কাছেই রাখার অনুমতি পেয়েছেন। মারিনা ওই সন্তানদের সঙ্গে দেখা করতে পেলেও তাদের নিয়ে বাইরে যেতে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও ছবি ভিডিয়ো শেয়ার করতে পারবেন না, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে সে দেশের চাইল্ড সার্ভিস।
নিজের বিচ্ছেদ এবং নতুন করে এই বিয়ের খবর মারিনাই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন। তারপর থেকেই খবরটি চার দিকে ছড়িয়ে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন একটি খবর ভাইরাল হতে সময় নেয়নি, বেশ কিছু ছবি ভিডিয়ো শেয়ার হয়ে চলেছে সেখানে।