এ বার কৃত্রিম উপগ্রহ ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবাতেও আমেরিকাকে টক্কর দিতে প্রস্তুত হচ্ছে রাশিয়া। মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের সংস্থা ‘স্টারলিঙ্ক’-এর বিকল্প তৈরি করার চেষ্টা করছে তারা। বুধবার এমনটাই জানিয়েছেন রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস-এর প্রধান দিমিত্রি বাকানভ।
মাস্কের সংস্থা স্টারলিঙ্ক দাবি করে, তারা কৃত্রিম উপগ্রহ ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংস্থা। সংস্থার ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, ‘লো আর্থ অরবিট’-এ অবস্থিত ছোট ছোট কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে ইন্টারনেট পরিষেবা দিয়ে থাকে এই সংস্থা। পৃথিবীপৃষ্ঠের ১৬০ থেকে ২০০০ কিলোমিটার উচ্চতার মধ্যে কক্ষপথগুলিকে ‘লো আর্থ অরবিট’ বলা হয়ে থাকে। নিচু অবস্থানের কারণে এই স্যাটেলাইট থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়া যায়। স্টারলিঙ্কের দাবি, তাদের কাছে এমন ৮০০০টিরও বেশি কৃত্রিম উপগ্রহ রয়েছে।
এ অবস্থায় স্টারলিঙ্কের বিকল্প ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবস্থা বাজারে আনতে উদ্যোগী হয়েছে রাশিয়া। এক রুশ সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাকানভ জানান, কৃত্রিম উপগ্রহ ভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবার জন্য তারা দ্রুতগতিতে কাজ চালাচ্ছেন। এটি স্টারলিঙ্কের বিকল্প হয়ে উঠবে বলেও জানান তিনি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স অনুসারে, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে কিভের সেনাবাহিনীতে ব্যাপক ভাবে স্টারলিঙ্ক-এর পরিষেবা ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুন:
‘স্টারলিঙ্ক’-এর বিকল্প ব্যবস্থা তৈরির কাজ দ্রুত গতিতে চলছে বলে জানান রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থার প্রধান। তিনি বলেন, “কক্ষপথে থাকা বেশ কিছু পরীক্ষামূলক মহাকাশযানকে ইতিমধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে। সেই অনুসারে নতুন মহাকাশযানগুলিতে পরিবর্তন করা হচ্ছে।” যদিও এই বিকল্প ব্যবস্থা কোন ব্যক্তিগত মালিকানায় করা হচ্ছে নাকি সরকারি উদ্যোগ, সেটি স্পষ্ট করেননি বাকানভ।
বস্তুত, বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশে স্টারলিঙ্কের পরিষেবা চালু রয়েছে। ভারতীয় বাজারে শীঘ্রই প্রবেশ করতে পারে মাস্কের ‘স্টারলিঙ্ক’। ইতিমধ্যে বেশ কিছু সরকারি ছাড়পত্রও পেয়ে গিয়েছে তারা। এশিয়ার মধ্যে জাপান, মঙ্গোলিয়া, ফিলিপিন্স, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, জর্ডন, ইয়েমেন, আজ়ারবাইজানের মতো দেশে স্টারলিঙ্ক সক্রিয়। ভারতের প্রতিবেশীদের মধ্যে ভুটান এবং বাংলাদেশে এই ইন্টারনেট পাওয়া যায়।