সরাসরি আসনভিত্তিক ভোট নয়। এ বার বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের আসন্ন নির্বাচনের পদ্ধতি বদলের দাবি তুলল কট্টরপন্থী দল জামায়াতে ইসলামি (বাংলাদেশে যারা ‘জামাত’ নামে পরিচিত)। শুধু মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার বা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের কাছেও সেই দাবি জানিয়েছেন জামায়াতে নেতারা।
মঙ্গলবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ঢাকায় বৈঠকের পরে জামায়াতের ‘নায়েবে আমির’ সৈয়দ আবদুল্লাহ মহম্মদ তাহের বলেন, ‘‘আমরা চাই আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি অনুসরণ করে জাতীয় সংসদের পরবর্তী নির্বাচন হোক।’’ ভারতের মতোই বাংলাদেশেও এতদিন আসনভিত্তিক প্রত্যক্ষ নির্বাচন হত।’’ অর্থাৎ কোনও আসনে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া প্রার্থী সংশ্লিষ্ট আসন থেকে জাতীয় সংসদে নির্বাচিত হতেন। সেই পদ্ধতি বদলাতে চায় জামাত।
আরও পড়ুন:
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি কিছু দেশে সম্পূর্ণ বা আংশিক ভাবে প্রচলিত রয়েছে। এমনকি, পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির কিছু আসন পিআর পদ্ধতি মেনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে বণ্টন করা হয়। এই পদ্ধতিতে কোনও রাজনৈতিক দল সাধারণ নির্বাচনে যত শতাংশ ভোট পায়, তার ভিত্তিতে জাতীয় সংসদে তাদের আসনসংখ্যা স্থির হয়। ব়ড় রাজনৈতিক দলগুলির ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি অসুবিধাজনক হলেও মাঝারি ও ছোট দলগুলির আইনসভায় প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত হয় এই পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে। তাহেরের দাবি, পিআর পদ্ধতিতে কোনও একক প্রার্থী থাকবেন না। এর ফলে কেন্দ্র দখলের প্রবণতা কমবে। হিংসা এবং ‘টাকার খেলা’ হ্রাস পাবে। তিনি বলেন, ‘‘দেশে অন্তত এক বার পরীক্ষামূলক ভাবে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন করা উচিত।’’