বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। সোমবার রাত থেকে বরং আরও অবনতি ঘটেছে। ঢাকার এক হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে। কেমন আছেন নেত্রী, এ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে বিএনপির মধ্যে। নেতা, কর্মী, সমর্থকেরা দলে দলে জড়ো হচ্ছেন হাসপাতালের বাইরে। এই পরিস্থিতিতে ঢাকার ওই হাসপাতালের বাইরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হল।
সংবাদমাধ্যম ‘দ্য ডেলি স্টার’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার রাত থেকেই ওই হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করা হয়েছে। হাসপাতালের মূল গেটের বাইরে ব্যারিকেড বসিয়েছে পুলিশ। সূত্রের খবর, খালেদার নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে দুই ডজনের বেশি অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে হাসপাতাল চত্বরে।
কেন নিরাপত্তা বাড়ানো হল? হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওখানে চিকিৎসাধীন অন্যান্য রোগী এবং তাঁদের আত্মীয়-পরিজনেরা যাতে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতেই নিরাপত্তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের স্পেশ্যাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) চার সদস্য সোমবার মধ্যরাতে হাসপাতালে যান। প্রায় তিন ঘণ্টা তাঁরা হাসপাতালে ছিলেন। ঘুরে দেখেন হাসপাতাল চত্বর। হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন বলে খবর। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগে কূটনৈতিক মহল। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করা হচ্ছে। তাঁর পুত্র তারেক রহমান এই বিষয় উল্লেখ করে জানান, দেশবাসীর সম্মিলিত সমর্থনই জিয়া পরিবারের শক্তি ও প্রেরণার উৎস!
আরও পড়ুন:
শুধু হাসপাতালে অন্য রোগীদের যাতায়াত মসৃণ করতেই নয়, নিরাপত্তা বৃদ্ধির অন্য কারণও রয়েছে। বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদাকে ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ হিসাবে ঘোষণা করেছে মুহাম্মদ ইউনূসের তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তার পর থেকেই তাঁর নিরাপত্তা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের ‘অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’-দের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে এসএসএফ। নিরাপত্তার স্বার্থে হাসপাতালের যে তলায় খালেদা রয়েছেন, তার আশপাশের সব কেবিন খালি করে দেওয়া হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
৮০ বছর বয়সি বিএনপি নেত্রী দীর্ঘদিন ধরেই শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। গত ২৩ নভেম্বর থেকে হাসপাতালেই ভর্তি রয়েছেন তিনি। শারীরিক অবস্থা কোনও কোনও সময়ে স্থিতিশীল হলেও বিশেষ উন্নতি হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। খালেদার বর্তমানে যা শারীরিক অবস্থা, তাতে এই মুহূর্তে তাঁকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই বিদেশ থেকেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ডেকে আনা হয়েছে বিএনপি নেত্রীর চিকিৎসায় সাহায্যের জন্য। সোমবার ঢাকায় পৌঁছে গিয়েছে চিনের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল। ওই হাসপাতালেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা খালেদার চিকিৎসা করবেন।