Advertisement
E-Paper

আইএস সম্পর্কে চালু সাত ভ্রান্ত ধারণা

সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এখন গোটা বিশ্বেই আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। কিন্তু এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটি সম্পর্কে আমাদের অনেক ভুল ধারণা ছিল এত দিন। সংগঠনটি কত দিনের পুরনো, তার কর্মকাণ্ডের পরিধিটা কী, তা কোথায় কোথায় ছড়ানো, তা তুলে ধরা হল এখানে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৫ ১৬:৫৬

সন্ত্রাসবাদী সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এখন গোটা বিশ্বেই আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। কিন্তু এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটি সম্পর্কে আমাদের অনেক ভুল ধারণা ছিল এত দিন। সংগঠনটি কত দিনের পুরনো, তার কর্মকাণ্ডের পরিধিটা কী, তা কোথায় কোথায় ছড়ানো, তা তুলে ধরা হল নীচের তালিকায়-

১) ২০০১ সালে এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটি চলত ‘তাউইদ আল-জিহাদ’ নামে। যারা ওই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটি গড়ে তুলেছিল, নব্ব্ইয়ের দশকে তারা তালিবানদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছিল আফগানিস্তানে।

২) সংগঠনটির নাম ‘ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক’ হয় ২০০৬ সালে। তখন তার সুপ্রিমো ছিলেন আবু ওমর আল-বাগদাদি। পরে নিজেকে যিনি হজরত মহম্মদের বংশধর বলে দাবি করেছিলেন।

৩) আইএসের এখনকার সুপ্রিমো আবু বকর আল বাগদাদিকে এক সময় বেশ কিছু দিন জেল খাটতে হয়েছিল, যখন আফগানিস্তানে ছিল মার্কিন সেনা। তাঁকে রাখা হয়েছিল আফগানিস্তানের বাক্কায়। তাঁকে পাঁচ বছর জেলে কাটাতে হয়েছিল। পরে তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মুক্তি পান বাগদাদি। এর পরেই তিনি যোগ দেন আইএসে।

৪) ইরাকের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসেনের বাথ পার্টির বেশ কয়েক জন নেতা, নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও প্রাক্তন ইরাকি সেনা কর্তারাই প্রথম গড়ে তুলেছিলেন আইএস।

৫) জিহাদি কোন পথে এগবে, তা নিয়ে এই সংগঠনের একটি বই আছে। ২৮০ পাতার ওই বইটির নাম- ‘দ্য ম্যানেজমেন্ট অফ স্যাভেজারি’। কী ভাবে সন্ত্রাসের মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে ইসলামিক স্টেট বানানো হবে, তা সবিস্তারে বলা হয়েছে ওই বইতে। সেই ইসলামিক স্টেটে থাকবে সর্বশক্তিধর সুরা কাউন্সিল, একটি যুদ্ধবিষয়ক ক্যাবিনেট, যে জায়গাগুলি আইএসের দখলে রয়েছে, সেগুলিকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য গভর্নর বা ‘ওয়ালিস’। আইএসের দাবি, ২০১৩ সালেই এক হাজার ৮৩ জনকে খুন করেছিল তারা।

৬) আল-কায়েদার সঙ্গে কোনও দিনই সুসম্পর্ক ছিল না আইএসের। অন্য সম্প্রদায়ের মুসলিমদের ওপর হামলা চালানোর জন্য আল-কায়েদা বহু বার সমালোচনা করেছে আইএসের। যদিও এক সময় ইরাকে আইএসের নাম ছিল- ‘আল-কায়েদা ইন ইরাক’ বা ‘একিউআই’। ২০১৩ সালে এদের নাম হয়- ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া।

৭) পশ্চিমি দেশগুলিতেও আইএস নতুন নয়। আমেরিকা গত ১২ বছর ধরে লড়াই চালাচ্ছে আইএসের বিরুদ্ধে।

পড়ুন--
প্যারিস হামলার নবচক্রী সভা ছক কষছিল দেড় বছর ধরে

জঙ্গিদের গুলি কেড়ে নিল যাঁদের

seven major points about militants
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy