ফের অফিসে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর ঘটনা ঘটল আমেরিকায়। ভারতীয় সময় অনুযায়ী মঙ্গলবার সকালে নিউ ইয়র্কের সেন্ট্রাল ম্যানহাটনে ঘটনাটি ঘটেছে। আততায়ীর গুলিতে নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের এক কর্তা-সহ অন্তত চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বিভিন্ন মার্কিন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে আততায়ীকেও চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাঁর নাম শেন তামুরা। ঘটনার পর পরই লাস ভেগাসের বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সি ওই আততায়ী আত্মঘাতী হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীদের মতে, ওই যুবক পেশায় ব্যক্তিগত গোয়েন্দা ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে একটি বন্দুকের মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সও পাওয়া গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রকে উদ্ধৃত করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্ট জানিয়েছে, স্থানীয় সময় অনুযায়ী সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিটে গ্র্যান্ড সেন্ট্রাল স্টেশন এবং রকফেলার সেন্টার থেকে মাত্র কয়েকটি ব্লক দূরেই মিডটাউন ম্যানহাটনের জনাকীর্ণ এলাকায় একটি বহুতলের ভিতরে ঢুকে পড়েন বুলেট-প্রতিরোধী জ্যাকেট পরিহিত এক বন্দুকবাজ। তাঁর কাছে একটি এআর-স্টাইল রাইফেল ছিল। প্রথমেই বহুতলের নীচের লবিতে নিউ ইয়র্ক পুলিশের এক কর্মীকে দেখে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে দেন ওই যুবক। তার পর সোজা উঠে যান ৩৩ তলায়। সেখানে একটি অফিসে ঢুকে আরও কয়েক রাউন্ড গুলি চালান তিনি।
আরও পড়ুন:
ঘটনায় ওই পুলিশকর্মী ছাড়াও মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। নিহত পুলিশকর্মীর নাম দিদারুল ইসলাম (৩৬)। বাংলাদেশ থেকে আসা দিদারুল গত সাড়ে তিন বছর ধরে নিউ ইয়র্ক পুলিশে কাজ করছিলেন। তাঁর পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন নিউ ইয়র্কের মেয়র এরিক অ্যাডামস। ঘটনার পর পুলিশের তরফেও তৎপরতা দেখা গিয়েছে। পার্ক অ্যাভিনিউ এবং ইস্ট ৫১ স্ট্রিটের আশপাশের এলাকা কড়া নিরাপত্তায় মুডে় ফেলা হয়েছে। তবে নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগের সূত্রকে উদ্ধৃত করে ফক্স নিউজ় জানিয়েছে, ওই পুলিশকর্মী-সহ অন্তত ছ’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। জীবিতেরা সকলেই গুরুতর জখম। তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
চলতি বছরে আমেরিকায় এই নিয়ে ২৫৪তম গণহত্যার ঘটনা ঘটল। ৩৪৫, পার্ক অ্যাভিনিউয়ের ওই বহুতলে ব্ল্যাকস্টোন, কেপিএমজি এবং ডয়চে ব্যাঙ্ক-সহ বেশ কয়েকটি আর্থিক সংস্থার অফিস রয়েছে। রয়েছে এনএফএলের সদর দফতরও। ফলে এ রকম গুরুত্বপূর্ণ একটি বহুতলে হামলার ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী।