কোনও রাজনৈতিক দলের নাম ‘বাংলাদেশ সংস্কারবাদী পার্টি’। আবার কোনও দলের নাম ‘বাংলাদেশ বেকার সমাজ’। এটিও নিজেদের একটি রাজনৈতিক দল বলে দাবি করছে। এই দলগুলি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে রাজনৈতিক দল হিসাবে নিজেদের রেজিস্ট্রেশন (নিবন্ধন) করাতে চায়। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’-র প্রতিবেদন অনুসারে, এমন আরও বেশ কিছু অদ্ভুত এবং বাহারি নামের দল নিবন্ধনের জন্য আবেদন জানিয়েছে। তাদের কোনওটির নাম ‘বাংলাদেশ জনপ্রিয় পার্টি’, কারও নাম ‘বাংলাদেশ শান্তির দল’, আবার কোনও দলের নাম ‘জনতার কথা বলে’।
বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ‘প্রথম আলো’ জানিয়েছে, রবিবার পর্যন্ত ৬৫টি দল রেজিস্ট্রেশনের জন্য কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছে। এ ছাড়া আরও ৪৬টি দল রেজিস্ট্রেশনের আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধির দাবি তুলেছে। ‘প্রথম আলো’ অনুসারে, এই দলগুলির মধ্যে বেশির ভাগেরই বাস্তবে কোনও কর্মসূচি চোখে পড়ে না। এগুলি প্রায় নামসর্বস্বই বলা চলে।
বাংলাদেশে নির্বাচনের দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। গত বছরের অগস্টে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে বাংলাদেশের প্রশাসনিক দায়িত্ব সামলাচ্ছে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। সেই থেকে কোনও নির্বাচন হয়নি বাংলাদেশে। দ্রুত নির্বাচনের দাবিতে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে সে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি। অন্তর্বর্তী সরকারের বক্তব্য, তারা চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করবে।
আরও পড়ুন:
বাংলাদেশের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য কোনও দলকে সে দেশের নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন করাতে হয়। বর্তমানে বাংলাদেশে ৫০টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধীকৃত। এই অবস্থায় নতুন দলের নিবন্ধনের জন্য গত ১০ মার্চ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ২০ এপ্রিল। ওই সময়সীমাকে ২২ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে কমিশন। সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করেছিল সে দেশের তরুণদের নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-সহ আরও কিছু দল।