জ়াইর বোলসোনারো। —ফাইল চিত্র।
প্রেসিডেন্ট জ়াইর বোলসোনারোর সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ খেতাব ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিলেন সে দেশের ২১ জন বিজ্ঞানী। একটি খোলা চিঠিতে প্রশাসনকে সরাসরি এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জ়াইর বোলসোনারোর ‘হ্যাঁ’-তে ‘হ্যাঁ’ না মেলালেই কোপে পড়েন তাঁরা, দাবি এই বিজ্ঞানীদের। উল্লেখ্য, ১৯৯২ সাল থেকেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ‘ন্যাশনাল অর্ডার অব সায়েন্টিফিক মেরিট’ নামক এই খেতাবটি দেওয়া হয় ব্রাজিলের গবেষক ও বিজ্ঞানীদের।
গত বুধবার দেশের ২৫ জন কৃতী বিজ্ঞানী ও জাতীয় ব্যক্তিত্বকে এই খেতাবের জন্য মনোনীত করে বোলসোনারোর প্রশাসন। কিন্তু ঠিক তার দু’দিন পরেই, অর্থাৎ শনিবার সেই তালিকা থেকে দুই বিজ্ঞানীর নাম বাদ দেন প্রেসিডেন্ট। এই দু’জন যথাক্রমে ডক্টর মার্কাস ল্যাসার্ডা ও ডক্টর অ্যাডেল বেনজ়াকেন। করোনা অতিমারির প্রাক্কালে ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার জন্য যখন হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধটি ব্যবহারের হিড়িক উঠেছে, তখন বোলসোনারো ছিলেন সেই ওষুধের অন্যতম সমর্থক। সেই সময়ই বিজ্ঞানী ল্যাসার্ডা একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করে জানান যে কোভিড মোকাবিলায় ক্লোরোকুইন জাতীয় ওষুধ কার্যকরী নয়। তার পরেই তাঁর উপর চটে যায় বোলসোনারো প্রশাসন। অন্য দিকে, ২০১৯ সালে ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এইচআইভি/এডস দফতরের ডিরেক্টরের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয় বিজ্ঞানী বেনজ়াকেনকে। তাঁর ‘অপরাধ’ ছিল, রূপান্তরকামীদের স্বাস্থ্য নিয়ে তাঁর দফতর একটি প্যামফ্লেট প্রকাশ করেছিল। তার পর থেকেই দক্ষিণপন্থী প্রেসিডেন্টের অপছন্দের তালিকায় ঠাঁই হয় তাঁরও। সেই অপছন্দেরই ‘খেসারত’ হিসাবে শনিবার খেতাবের তালিকা থেকে বাদ পড়েন তাঁরা। খবরটি জানা মাত্রই ২১ জন বিজ্ঞানী খেতাব ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। চিঠিতে তাঁরা জানিয়েছেন, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও নয়া আবিষ্কারের উপর ফের নির্লজ্জ আক্রমণ করলেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট। দীর্ঘদিন ধরেই বিজ্ঞানীদের সমালোচনা ও প্রতিবাদের কেন্দ্রে তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy