বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না সে দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনকি তাঁর পরিবারের সব সদস্যেরও ভোটাধিকার বাতিল করেছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন।
গত এপ্রিলেই বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের এনআইডি শাখার প্রধান হুমায়ুন কবীরের নির্দেশে হাসিনা এবং তাঁর পরিবারের ১০ সদস্যের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বাতিল করা হয়েছিল। স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশের পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না তাঁরা। যে ১০ জনের ভোটাধিকার বাতিল করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন হাসিনার বোন শেখ রেহানা, পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়, কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, রেহানার কন্যা টিউলিপ সিদ্দিক।
বুধবার বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের সচিব জানান, বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে দেশের বাইরে থেকেও ভোট দেওয়া যাবে। কিন্তু যাঁদের এনআইডি বন্ধ করা হয়েছে, তাঁরা ভোট দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন। এই একই নিয়ম হাসিনা এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছেন কমিশনের সচিব।
ইতিমধ্যেই হাসিনার দল আওয়ামী লীগের কার্যকলাপের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বাংলাদেশে। আওয়ামী লীগ নির্বাচনেও অংশ নিতে পারবেন না। তবে দলের নেতা-কর্মীরা ভোট দিতে পারবেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের বিদেশে থাকা নেতাদের মধ্যে যাঁদের এনআইডি ‘লক’ করা হয়েছে, তাঁরা ভোট দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছে কমিশন।
প্রসঙ্গত, ফেব্রুয়ারির গোড়াতেই জাতীয় সংসদের ভোট হতে পারে বাংলাদেশে। গত ৫ অগস্ট জাতির উদ্দেশে ভাষণে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছিলেন, আগামী বছর রমজান শুরুর আগে ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি জাতীয় সংসদের নির্বাচন করাতে চান। তিনি বলেন, ‘‘২০২৬ সালের পবিত্র রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি পাঠাব।’’