Advertisement
E-Paper

রুশ উপকূলে জ্বলছে জাহাজ, নিরাপদে ভারতীয় নাবিকেরা

দু’টি জাহাজেই ছিল তানজ়ানিয়ার পতাকা। একটিতে ছিল তরল প্রাকৃতিক গ্যাস আর অন্যটিতে ট্যাঙ্কার। কৃষ্ণ সাগরে পাড়ি দেওয়া ওই দুই জাহাজে সোমবার হঠাৎই আগুন লেগে যায়। তাতে অন্তত ১৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন। 

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ০৫:১৫
সামাল: কার্চ প্রণালীতে চলছে আগুন নেভানোর কাজ। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক প্রকাশ করেছে এই ছবি। রয়টার্স

সামাল: কার্চ প্রণালীতে চলছে আগুন নেভানোর কাজ। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক প্রকাশ করেছে এই ছবি। রয়টার্স

দু’টি জাহাজেই ছিল তানজ়ানিয়ার পতাকা। একটিতে ছিল তরল প্রাকৃতিক গ্যাস আর অন্যটিতে ট্যাঙ্কার। কৃষ্ণ সাগরে পাড়ি দেওয়া ওই দুই জাহাজে সোমবার হঠাৎই আগুন লেগে যায়। তাতে অন্তত ১৪ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

মৃতদের মধ্যে প্রথমে ভারতীয় নাবিকরা আছেন বলে আতঙ্ক ছড়ালেও পরে ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব শিপিং (ডিজিএস) জানিয়েছে, ১৫ জন ভারতীয় নাবিকের বেশির ভাগই সুরক্ষিত। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ ইতিমধ্যে দেশে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও করেছেন। কেউ কেউ জ্বলন্ত জাহাজ থেকে জলে ঝাঁপ দিয়ে রক্ষা পেয়েছেন। ডিজিএস ওই নাবিকদের তালিকা প্রকাশ করেছে। ভারত ছাড়াও জাহাজ দু’টিতে ছিলেন লিবিয়া এবং তুরস্কের নাবিকরা।

রাশিয়া থেকে ক্রাইমিয়াকে পৃথক করেছে যে কার্চ প্রণালী, কৃষ্ণ সাগরের সেই অংশে একটি জাহাজ অন্যটি থেকে জ্বালানি নিচ্ছিল। হঠাৎ জ্বালানি থেকেই কোনও ভাবে বিস্ফোরণের জেরে আগুন ধরে যায় বলে দাবি।

১৭ জন কর্মী-সহ ক্যান্ডি নামে একটি জাহাজে ছিলেন তুরস্কের ৯ জন নাগরিক এবং ৮ জন ভারতীয়। মাইস্ত্রো নামে অন্য জাহাজে ছিলেন ১৫ জন নাবিক। তার মধ্যে ৭ জন তুরস্কের এবং ৭ জন ভারতীয়। তা ছাড়া, ছিলেন লিবিয়ার এক জন শিক্ষানবিশ। রুশ নৌবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, জ্বালানি ভরার সময়ে একটি জাহাজে বিস্ফোরণ হয়। সম্ভবত সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে অন্যটিতে। মস্কোয় ভারতের দূতাবাসের তরফে রুশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। ক্রাইমিয়ার প্রধান সের্গেই অ্যাক্সিয়োনভ অবশ্য বলেছেন, ‘‘আগুন লাগার কারণ বলতে পারব না। এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। সবাইকে এখনও হাসপাতালে পৌঁছনো সম্ভব হয়নি।’’

উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। বেশ কয়েক জন কর্মী জ্বলন্ত জাহাজ থেকে ঝাঁপ দেন। উদ্ধার করা হয় ১২ জনকে। ন’জন নিখোঁজ। খারাপ আবহাওয়ার জন্য উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছে। যাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে, তাঁদের চিকিৎসার জন্য তীরে ফিরিয়ে আনতেও অসুবিধে হচ্ছে। দুই জাহাজের আগুন এখনও নেভানো যায়নি।

কার্চ প্রণালী রাশিয়া ও ইউক্রেনের জন্য যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এখানকার অর্থনৈতিক জীবনরেখা বলা যায় এই প্রণালীকে। ইউক্রেনের মারিউপল বন্দর-শহর থেকে এর মাধ্যমেই কৃষ্ণ সাগরে এসে পড়ে সব জাহাজ। এই অংশ থেকে রাশিয়াও সব চেয়ে সহজে ক্রাইমিয়ায় পৌঁছতে পারে।

Ship Moscow Russia port Indian
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy