ছ’বছর আগেই পিয়ংইয়ঙের পরমাণু ডুবোজাহাজ নির্মাণ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং-উনের সরকার সেই পরমাণু শক্তিচালিত এবং পরমাণু অস্ত্রবাহী ডুবোজাহাজ তৈরির কাজে সফল হতে চলেছে। কিম স্বয়ং পরিদর্শন করেছেন সেই কারখানা।
উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ পরমাণু ডুবোজাহাজ এবং কারখানা পরিদর্শনরত কিমের ছবিও প্রকাশ করেছে। সেই সঙ্গে জানিয়েছে, মিত্র দেশ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন কিমকে। পরমাণু শক্তিচালিত এই ডুবোজাহাজের ওজন প্রায় দু’হাজার টন। ইতিমধ্যেই পরমাণু অস্ত্র হস্তগত হয়েছে কিমের। নতুন ডুবোজাহাজের মূল অস্ত্র হল পরমাণু ওয়ারহেড-যুক্ত ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। চলতি বছরের গোড়ায় উত্তর কোরিয়া ধারাবাহিক ভাবে হাইপারসনিক (শব্দের চেয়ে পাঁচ গুণ বা তার বেশি গতিবেগ সম্পন্ন) ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করেছে। সেই ক্ষেপণাস্ত্র নতুন ডুবোজাহাজে বসানো হতে বলে সামরিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে মনে করছেন।
আরও পড়ুন:
পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমের একাংশ জানাচ্ছে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের ‘রোমিও ক্লাস’-এর পরমাণু ডুবোজাহাজের উন্নততর সংস্করণ বানাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। ফলে মস্কোর গোপন সহায়তার জল্পনা রয়েছে। রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সেনা পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। রাশিয়া তার বিনিময়ে উত্তর কোরিয়াকে আর্থিক সহায়তা, জ্বালানি এবং সামরিক প্রযুক্তি সরবরাহ করছে বলে আমেরিকা ও ইউরোপে আগেই অভিযোগ তুলেছে। ঘটনাচক্রে, গত মাসেই জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াশুকাজু হামাদা দাবি করেছিলেন, আমেরিকার মূল ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর মতো প্রযুক্তি আয়ত্ত করে ফেলেছে উত্তর কোরিয়া। তার পরেই পরমাণু ডুবোজাহাজের সঙ্গে কিমের ছবি প্রকাশ করল পিয়ং ইয়ং।