Advertisement
E-Paper

কিমদের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ায় উত্তেজনা কোরীয় উপদ্বীপে

সম্প্রতি ১২ দিনের যৌথ নৌসেনা মহড়া চালিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকা। আগামী সোমবার থেকে এই দু’দেশের বায়ুসেনারও যৌথ মহড়ায় অংশ নেওয়ার কথা। সেখানে থাকবে দুই শতাধিক যুদ্ধবিমান।

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২২ ০৮:২৬
ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপন ঘিরে ফের অশান্ত দুই কোরিয়া।

ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপন ঘিরে ফের অশান্ত দুই কোরিয়া।

ফের উত্তেজনার পারদ বাড়ছে দুই কোরিয়ার মধ্যে। আজ দক্ষিণ কোরিয়ার সেনার তরফে জানানো হয়েছে, উত্তর কোরিয়া দু’টি স্বল্প দৈর্ঘ্যের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এর পিছনে অবশ্য অন্য পরিকল্পনা রয়েছে বলে মনে করছে দক্ষিণ কোরিয়া। সোল ও ওয়াশিংটন মনে করছে, কিম জং উনের দেশ পরমাণু পরীক্ষা চালাতে পারে।

সম্প্রতি ১২ দিনের যৌথ নৌসেনা মহড়া চালিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া এবং আমেরিকা। আগামী সোমবার থেকে এই দু’দেশের বায়ুসেনারও যৌথ মহড়ায় অংশ নেওয়ার কথা। সেখানে থাকবে দুই শতাধিক যুদ্ধবিমান। এই পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের ঘটনা তাৎপর্যপূর্ণ।

কূটনৈতিক মহলের মতে, সোল ও ওয়াশিংটনের যৌথ মহড়ায় ক্ষুব্ধ পিয়ংইয়্যাং। তাদের দেশের উপরে আক্রমণের মহড়া বলে মনে করছে উত্তর কোরিয়া। তাই পাল্টা নিজেদের শক্তিপ্রদর্শন করেছে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে। এই নিয়ে চলতি বছরে ২৮টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করল তারা।

দক্ষিণ কোরিয়ার সেনার তরফে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ১১টা ৫৯ ও ১২টা ১৮ মিনিট নাগাদ গাংওনের টংচন অঞ্চল থেকে উত্তর কোরিয়ার পূর্ব উপকূল বরাবর ক্ষেপণাস্ত্র দু’টি ছোড়া হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জানিয়েছেন, আমেরিকার সঙ্গে সমন্বয় রেখে সেনা নজরদারির মাত্রা আরও বাড়াচ্ছেন তাঁরা।

গত কিছুদিন ধরেই ক্রমশ উত্তেজনা বাড়ছে কোরীয় উপদ্বীপের দুই প্রতিবেশীর মধ্যে। গত মাসেই উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন ঘোষণা করেছেন, তাঁদের পরমাণু নীতি অপরিবর্তনীয়। এ দিকে ওয়াশিংটন ও সোলের তরফেও সতর্কতা জারি করে বলা হয়েছে, কিম ফের পরমাণু পরীক্ষা চালাতে পারেন। যা উত্তর কোরিয়ার সপ্তম এবং ২০১৭ সালের পরে প্রথম বার হতে চলেছে।

গত মঙ্গলবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইয়োল জানান, পিয়ংইয়্যাং‌ তাদের সপ্তম পরমাণু পরীক্ষার প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে। পরের দিন, বুধবার আমেরিকা, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া কিমের দেশের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়েছে, উত্তর কোরিয়া পরমাণু পরীক্ষা করলে অভূতপূর্ব প্রত্যাঘাতের জন্য তৈরি থাকতে হবে। পিয়ংইয়্যাং‌য়ের এই পরীক্ষাকে প্ররোচনা হিসাবেই দেখছে দক্ষিণ কোরিয়া। সে দেশের জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জানান, ওই হামলা কোরীয় উপদ্বীপে শান্তি ও শৃঙ্খলার প্রতি হুমকির শামিল। এর ফলে রাষ্ট্রপুঞ্জে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবিত বিধিও লঙ্ঘন করবে উত্তর কোরিয়া।

ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটোমিক এনার্জি এজেন্সির ডিরেক্টর জেনারেল রাফায়েল গ্রসি জানান, উত্তর কোরিয়ার পদক্ষেপের উপর তাঁরা খুব কাছ থেকে নজর রাখছেন। তাঁর আশা, এমনটা হয়তো ঘটবে না। তবে পরিস্থিতি সেই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার দিকেই ইঙ্গিতবাহী। সংবাদ সংস্থা

Kim Jong-un korea
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy