Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Work from home

WFH: সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন স্ত্রী, ছুটি না নিয়ে হাসপাতাল থেকেই ‘চাকরি বাঁচাচ্ছেন’ স্বামী!

প্রথম বার বাবা হলেও, ছুটি না নিয়ে হাসপাতাল থেকেই অফিসের কাজ করেন ওই যুবক। কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্তে বিভক্ত নেটপাড়া।

স্ত্রী ও সদ্যোজাতকে নিয়ে যুবকের হাসপাতাল বসে কাজ করার এই ছবিই ছড়িয়েছে নেটমাধ্যমে।

স্ত্রী ও সদ্যোজাতকে নিয়ে যুবকের হাসপাতাল বসে কাজ করার এই ছবিই ছড়িয়েছে নেটমাধ্যমে।

সংবাদ সংস্থা
লন্ডন শেষ আপডেট: ২৭ জুন ২০২১ ১৬:৩৪
Share: Save:

ওয়র্ক ফ্রম হোম’। করোনা কালের অন্যতম পরিচিত শব্দবন্ধ বোধহয় এটিই। যার অর্থ বাড়িতে বসে অফিসের কাজ করা। এ বার তার সংজ্ঞা পাল্টে দিলেন এক যুবক। নিজের প্রথম সন্তানের জন্মের দিন হাসপাতালের মাতৃত্ব বিভাগেই অফিস খুলে বসলেন তিনি। নিজেই জানালেন, সদ্যোজাতকে পাশে নিয়ে ‘ওয়র্ক ফ্রম হসপিটাল’ করছেন তিনি।
কর্মজীবী মানুষদের ভিড় যে ওয়েবসাইটে, সেই লিঙ্কডইন-এ সম্প্রতি হাসপাতালের মাতৃত্ব বিভাগ থেকে একটি ছবি পোস্ট করেন ওই যুবক। তাতে দেখা যায়, সদ্যোজাতকে কোলে নিয়ে বসে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী। পাশের ডেস্কে ল্যাপটপে কাজ করছেন তিনি।
তিনি জানিয়েছেন, পারলে ছুটি নিতেই পারতেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে কাজের ধারাবাহিকতা নষ্ট হত তাঁর। আবার অফিস গেলে প্রথম সন্তানকে দেখতে পেতেন না। পাশে থাকতে পারতেন না স্ত্রীর। তাই হাসপাতাল থেকেই কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। নিজের সিদ্ধান্তে তিনি খুশি বলেই জানিয়েছেন ওই যুবক।

কিন্তু তাঁর এই পোস্ট ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে নেটপাড়ায়। নেটাগরিকদের মতে, চাকরি রাখতে গিয়ে প্রথম বার বাবা হওয়ার আনন্দ, আবেগটাই ঠিক করে অনুভব করতে পারলেন না তিনি। একটা দিন ছুটি নিলে কী হত, এমন প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে। কেউ কেউ আবার প্রশ্ন তুলেছেন, কোথায় প্রসব যন্ত্রণায় কাতর স্ত্রীর পাশে থাকবেন, তাঁকে ভরসা দেবেন, তা নয় ল্যাপটপে মুখ গুঁজে বসে রয়েছেন তিনি। অনেকে আবার বলছেন, আসলে তিনি ছুটিই পাননি। নেহাত চাকরি বাঁচানোর দায়ে এ সব করছেন তিনি।
তবে ওই যুবকের যুক্তি, ‘এই মুহূর্তে কাজই আমার পরিবার, পরিবারই আমার কাজ।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE