Advertisement
০৫ মে ২০২৪
Sri Lanka

Sri Lanka Crisis: প্রেসিডেন্ট ভোটের বিধি বদল, পলাতক গোতাবায়ার কুর্সি দখলের লড়াইয়ে তিন প্রতিদ্বন্দ্বী

জনরোষ এড়াতে বুধবার দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। আগামী ২০ জুলাই হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।

অলহাপেরুমনা, সাজিথ এবং‌ রনিল।

অলহাপেরুমনা, সাজিথ এবং‌ রনিল। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

সংবাদ সংস্থা
কলম্বো শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২২ ১০:৪৩
Share: Save:

প্রেসিডেন্ট ভোটের নিয়ম বদল হল শ্রীলঙ্কায়। আম নাগরিকদের সমর্থনে (পপুলার ভোট) নয়, সে দেশের পার্লামেন্টের সদস্যদের ভোটেই আগামী ২০ জুলাই নির্বাচিত হবেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট।

শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের স্পিকার ওয়াই অবেবর্ধনে শুক্রবার জানিয়েছেন, ২২৫ জন পার্লামেন্ট সদস্যের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের ভিত্তিতে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। রাজনৈতিক সূত্রের খবর, পলাতক গোতাবায়া রাজপক্ষের ছেড়ে যাওয়া প্রেসিডেন্টের কুর্সি দখলের লড়াইয়ে রয়েছেন মূলত তিন জন— প্রধানমন্ত্রী তথা কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে, পার্লামেন্টের বিরোধী দলনেতা সাজিথ প্রেমদাসা এবং প্রবীণ সাংবাদিক তথা পার্লামেন্ট সদস্য ডলাস অলহাপেরুমনা।

ভারতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের মতো শুধু মাত্র সাংসদ-বিধায়কেরা নন, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দেন সে দেশের প্রত্যেক নাগরিক। এত কম সময়ের মধ্যে সেই আয়োজন কার্যত অসম্ভব। এই পরিস্থিতিতে তাই পার্লামেন্টের সদস্যদের ভোটের ভিত্তিতেই অন্তর্বতী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে সর্বদল বৈঠকে।

২২৫ সদস্যের শ্রীলঙ্কা পার্লামেন্টে রাজাপক্ষের দল শ্রীলঙ্কা পড়ুজনা পেরমুনা (এসএলপিপি)-র সদস্য সংখ্যা ১০০। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী রনিলের দল ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টি (ইউএনপি)-র ১ এবং তালিম সংগঠন ইপিডিপির ২ সদস্য রয়েছেন। ছ’বারের প্রধানমন্ত্রী রনিল ভোটে লড়লে এদের বড় অংশের সমর্থন পেতে পারেন। অন্য দিকে, সাজিথের দল সমগি জন বলবেগয়া (এসজেবি)-র ৫৪ পার্লামেন্ট সদস্য রয়েছেন। বৃহত্তম তামিল দল টিএনএ-র ১০ সদস্যের সমর্থনও তাঁর পাশে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অন্য ছোট দল এবং ৪৫ জন নির্দল সদস্যের সমর্থন নির্ণায়ক হতে পারে।

জনরোষ এড়াতে বুধবার ভোরে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিঙ্ঘে অস্থায়ী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেও ইতিমধ্যেই বিক্ষোভকারীদের নিশানা হয়েছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে গোতাবায়া এবং তাঁর দাদা তথা পদত্যাগী প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষের নেতৃত্বাধীন এসএলপিপি-র কত জন পার্লামেন্ট সদস্য রনিলকে ভোট দেবেন তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিকল্প হিসেবে উঠে আসছে এসএলপিপি-র পার্লামেন্ট সদস্য অলহাপেরুমনার নাম।

শাসক শিবিরে অন্তর্কলহের জেরে এসজেবি নেতা সাজিথ প্রেসিডেন্ট ভোটের লড়াইয়ে এগিয়ে যেতে পারেন বলে অনেকে মনে করছেন। প্রসঙ্গত, সাজিথের বাবা রনসিঙ্ঘে প্রেমদাসা শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট পদ থাকাকালীন ১৯৯৩ সালে তামিল জঙ্গিগোষ্ঠী এলটিটিই-র মানববোমা হামলায় নিহত হয়েছিলেন।

রনিল এবং সাজিথ দীর্ঘ দিন রাজনৈতিক সহযোগী ছিলেন। রনিলের সরকারে স্বাস্থ্যমন্ত্রীও হয়েছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট ভোটে রনিলের দল ইউএনপির প্রার্থী হিসেবে লড়েই গোতাবায়ার কাছে হেরে যান সাজিথ। ৫২.২৫ শতাংশ ভোট পেয়ে জেতেন গোতাবায়া। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাজিথ ৪১.৯৯ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন। দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর ভোটের ব্যবধান ছিল প্রায় ১৩ লক্ষ। গত বছরের পার্লামেন্ট নির্বাচনের আগে ইউএনপি ছেড়ে নয়া দল এসজেবি গড়েন সাজিথ। ভোটে শ্রীলঙ্কা পার্লামেন্টের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হয় এসজেবি। অন্য দিকে, মাত্র একটি আসনে জেতে রনিলের ইউএনপি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE