প্রতীকী ছবি।
অতিমারি আবহে ফের নয়া আতঙ্ক। নেপথ্যে ওমিক্রনের নয়া সাব-স্ট্রেন ‘বিএ.২’। স্ট্রেনটিকে শনাক্ত করতে ব্যর্থ হচ্ছে আরটি-পিসিআর পরীক্ষাও!
ওমিক্রনের এই উপ-প্রজাতি ঘুম কেড়েছে স্বাস্থ্যকর্তাদের। তাঁরা জানাচ্ছেন, রাডারের চোখে ধুলো দিয়ে যে ভাবে এগিয়ে চলে ‘স্টেল্থ’ যুদ্ধবিমান, অনেকটা সে ভাবেই করোনা শনাক্তকরণের ‘গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড টেস্ট’ বলে পরিচিত আরটি-পিসিআর পরীক্ষাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা রয়েছে এই ‘বিএ.২’-এর। যে কারণে এটিকে ‘স্টেল্থ ওমিক্রন’ বলেই অভিহিত করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
ইতিমধ্যেই ব্রিটেন জানিয়েছে, ইউরোপের ৪০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই স্ট্রেন। যে সূত্রে আগামী দিনে ওই মহাদেশে ফের সংক্রমণের ঢেউ আছড়ে পড়তে চলেছে বলে আশঙ্কা স্বাস্থ্যকর্তাদের।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ওমিক্রনের মোট তিনটি সাব-স্ট্রেন রয়েছে— বিএ.১, বিএ.২ এবং বিএ.৩। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে বিশ্ব জুড়ে বেশির ভাগ ওমিক্রন-আক্রান্তের শরীরে রয়েছে বিএ.১। তবে এ বার সমান তালে পাল্লা দিতে মাঠে নেমেছে ‘স্টেল্থ ওমিক্রন’।
যেমন ২০ জানুয়ারি ডেনমার্ক জানায়, অর্ধেক ওমিক্রন আক্রান্ত অ্যাক্টিভ রোগীর শরীরেই রয়েছে বিএ.২। ব্রিটেনেও দাপট বেড়েছে ওমিক্রনের এই স্ট্রেনের। এমনকি সুইডেন এবং নরওয়ের প্রশাসনও জানিয়েছে একই কথা। ভারত তো বটেই ফ্রান্সের বিজ্ঞানীরাও সতর্ক করেছেন, খুব দ্রুত বিএ.১-কে সরিয়ে জমি দখল করবে ‘স্টেল্থ’ স্ট্রেন।
কিন্তু কেন আরটি-পিসিআরে ধরা পড়ছে না বিএ.২? গবেষকেরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে ওমিক্রনের ‘ডমিন্যান্ট স্ট্রেন’ বলে পরিচিত বিএ.১-এর স্পাইক প্রোটিনের ক্ষেত্রে এক বিশেষ ধরনের মিউটেশন রয়েছে। যে সূত্রে তা আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব। কিন্তু বিএ.২-এর ক্ষেত্রে সেটা নেই। সেই কারণেই এই বিপত্তি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy