Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
International News

এই ভুল করবেন না, আমেরিকার দিকে আঙুল তুলল চিন

দক্ষিণ চিন সাগর আবার আমেরিকা ও চিনের মধ্যে উত্তেজনার পারদটাকে চড়িয়ে দিল। মার্কিন নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ‘ইউএসএস ডিওয়ে’ দক্ষিণ চিন সাগরের স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জের বিতর্কিত মিসচিফ রিফের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে ঢুকে টহলদারি শুরু করেছে। আর তাতে বেজায় চটে গিয়েছে বেজিং।

দক্ষিণ চিন সাগরে টহল দিচ্ছে মার্কিন ডেস্ট্রয়ার।

দক্ষিণ চিন সাগরে টহল দিচ্ছে মার্কিন ডেস্ট্রয়ার।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৭ ১৯:৫০
Share: Save:

দক্ষিণ চিন সাগর আবার আমেরিকা ও চিনের মধ্যে উত্তেজনার পারদটাকে চড়িয়ে দিল।

মার্কিন নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ‘ইউএসএস ডিওয়ে’ দক্ষিণ চিন সাগরের স্প্রাটলি দ্বীপপুঞ্জের বিতর্কিত মিসচিফ রিফের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে ঢুকে টহলদারি শুরু করেছে। আর তাতে বেজায় চটে গিয়েছে বেজিং।

চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লু কাং বলেছেন, ‘‘আমাদের আগেভাগে কিছু জানানো হয়নি। কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। মার্কিন যুদ্ধজাহাজ এই ভাবে ঢুকে পড়ায় চিনের সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ হয়েছে। চিনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে। আমেরিকাকে অনুরোধ করব এই ভুলটা তাড়াতাড়ি শুধরে নিতে।’’

চিনের উষ্মাকে অবশ্য তেমন গুরুত্ব দিতে চায়নি আমেরিকা। পেন্টাগনের মুখপাত্র জেফ ডেভিস বলেছেন, ‘‘আমরা (আমেরিকা) তো আন্তর্জাতিক নিয়মবিধি মেনেই দক্ষিণ চিন সাগর সহ এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় এই ভাবে টহল দিই। আগেও দিয়েছি, এখনও দিচ্ছি। এটা তো রুটিন। আমরা তো কোনও দেশে ঢুকে পড়িনি। ঢুকিনি কোনও দেশের জলসীমার মধ্যেও। আমাদের এই ‘ফ্রিডম অফ নেভিগেশন ’৭৯ সাল থেকেই চলছে। চলবে আগামী দিনেও।’’


গত অক্টোবরে দক্ষিণ চিন সাগরে টহল দিয়েছিল এই মার্কিন এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার

বিতর্কের সূত্রপাতটা এখানেই। কারণ, দক্ষিণ চিন সাগরের সুবিশাল একটা এলাকা বেশ কিছু দিন ধরেই ‘বিতর্কিত’ হয়ে উঠেছে বেজিং সেই এলাকাগুলিকে ‘নিজের অঞ্চল’ বলে দাবি করায়। দক্ষিণ চিন সাগরের বিভিন্ন এলাকা নিয়ে পাল্টা দাবি রয়েছে তাইওয়ান, ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স, ব্রুনেই ও মালয়েশিয়ারও।

আরও পড়ুন- চিন-পাকিস্তান করিডর নিয়ে শঙ্কা রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্টেই

এর আগে দক্ষিণ চিন সাগরে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ শেয টহল দিয়েছিল গত অক্টোবরে। তার পর দক্ষিণ চিন সাগরে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও জোরদার করে তুলতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়ার জন্য একে অপরের দিকে অনেকটাই এগিয়ে এসেছে চিন ও আমেরিকা। এমনকী, উত্তর কোরিয়ার লাগাতার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার রাশ টেনে ধরতে চিন ও আমেরিকা দু’টি দেশই উৎসাহ দেখিয়েছে। কাছাকাছি আসার ইঙ্গিত দিয়েছে।

দক্ষিণ চিন সাগরে মার্কিন গাইডেড মিসাইল ডেস্ট্রয়ারের টহলদারি শুরু হয়ে যাওয়ায় আমেরিকার সঙ্গে নতুন করে গড়ে ওঠা সম্পর্ক যে কিছুটা ধাক্কা খাবে, চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র তা মনে করিয়ে দিতে ভুলে যাননি।

চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র লু কাং বলেছেন, ‘‘যা চিনের সার্বভৌমত্বকে ক্ষুণ্ণ করে আর তার জলসীমাকে লঙ্ঘন করে, এমন কিছুকে উসকানি দেওয়া বন্ধ করুক আমেরিকা। না হলে এলাকার শান্তি নষ্ট হবে। নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। আর দু’দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রগুলি প্রসারিত না হয়ে উত্তরোত্তর সঙ্কুচিত হয়ে যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

China US South China Sea
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE