আতঙ্ক: জঙ্গি হামলায় আহত এক মহিলাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। শুক্রবার কাবুলে। ছবি: রয়টার্স।
চলতি মাসেই আত্মঘাতী জঙ্গি হানায় কেঁপে উঠেছিল কাবুল। শুক্রবার কাবুলের একটি শিয়া অধ্যুষিত মসজিদে ফের চলল আত্মঘাতী জঙ্গি হানা। এই ঘটনায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
শুক্রবার দুপুর। কোয়ালা-ই-নাজারহ এলাকার ইমাম জামান মসজিদে তখন প্রার্থনাকারীদের ভিড়। তার মধ্যেই স্থানীয় সময় ১টা ১৫ নাগাদ মসজিদে ঢুকে পড়ে তিন-চার জন বন্দুকবাজ। সূত্রের খবর, পুলিশের পোশাকে ছিল তারা। ঢুকেই মসজিদের পাহারায় থাকা এক নিরাপত্তারক্ষী ও ইমামকে গুলি করে মারে জঙ্গিরা। এর পরেই এক জঙ্গি মসজিদের ভিতরে বোমা বিস্ফোরণ করে নিজেকে উড়িয়ে দেয়।
খবর পেয়েই মসজিদটিকে ঘিরে ফেলে আফগান সেনার বিশেষ বাহিনী। কিছু ক্ষণ তাদের গুলির লড়াই চলে। স্থানীয়দের দাবি, একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন তাঁরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মসজিদে ঢুকতে ঢুকতেই বেশ কয়েকটি গ্রেনেড বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। পালানোর সময় ছুরি দিয়েও অনেককে আঘাত করে তারা। এখন পর্যন্ত কোনও গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে সন্দেহের তির তালিবানের দিকেই।
আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের এক মুখপাত্র নাজীব দানিশ জানাচ্ছেন, ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এক মহিলা-সহ আহত অন্তত ১৫। উদ্ধারের পরে আহতদের স্থানীয় হাসপাতালগুলিতে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। ঘটনার পরেই কোয়ালা-ই-নাজারহ-সহ কাবুলের বেশ কয়েকটি এলাকায় জারি হয়েছে কড়া নিরাপত্তা।
আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু শিয়াদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনা নতুন নয়। গত ১ অগস্ট কাবুলের হেরাট প্রদেশের শিয়া অধ্যুষিত একটি মসজিদে আত্মঘাতী জঙ্গি হানা চালিয়েছিল আইএস। মৃত্যু হয়েছিল ৩২ জনের। আহত হয়েছিলেন অন্তত ৬০ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy