Advertisement
E-Paper

জোড়া জঙ্গি হামলায় আফগানিস্তানে হত ৬৩

কাবুলের দাশত-এ-বার্চ এলাকার ইমাম জামান মসজিদে। ভিতরে তখন চলছিল শুক্রবারের প্রার্থনা। হঠাৎই বিকট শব্দে কেঁপে উঠল চারপাশ। এলোপাথাড়ি ভাবে গুলি চালাতে-চালাতে মসজিদে ঢুকে পড়ে এক বন্দুকবাজ।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:০০

জোড়া জঙ্গি হানায় রক্তাক্ত হল আফগানিস্তান। নিহত অন্তত ৬৩।

প্রথমটি ঘটে কাবুলের দাশত-এ-বার্চ এলাকার ইমাম জামান মসজিদে। ভিতরে তখন চলছিল শুক্রবারের প্রার্থনা। হঠাৎই বিকট শব্দে কেঁপে উঠল চারপাশ। এলোপাথাড়ি ভাবে গুলি চালাতে-চালাতে মসজিদে ঢুকে পড়ে এক বন্দুকবাজ। কাবুল অপরাধ দমন শাখার প্রধান জেনারেল মহম্মদ সালিম আলমাস বলেন, ‘‘প্রার্থনাকারীদের লক্ষ করে গুলি চালাতে থাকে লোকটা।’’ অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী আলিমাস্ত মোমান্দ জানিয়েছেন, ওই জঙ্গি পায়ে হেঁটেই মসজিদে ঢুকেছিল। গুলির ঝড়ের শেষে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় সে।

পুলিশ জানিয়েছে, কাবুলের ওই শিয়া মসজিদে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৩০ জন। তবে নিহতের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। কারণ মসজিদের ভিতরে তখন ঠিক কত জন ছিলেন, তা স্পষ্ট নয়। বরং সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা পুলিশের। আহত পঞ্চাশের বেশি। প্রশাসন সূত্রে খবর, নিহতেরা সকলেই সংখ্যালঘু হাজারা শিয়া সম্প্রদায়ের।

দ্বিতীয় হামলাটি অবশ্য ঘটেছে আফগানিস্তানের ঘর প্রদেশের একটি সুন্নি মসজিদে। সেখানেও তখন শুক্রবারের প্রার্থনা চলছিল। এ পর্যন্ত ৩৩ জন নিহত বলে জানা গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, জঙ্গিদের লক্ষ্য ছিল প্রাক্তন জঙ্গি কম্যান্ডার আব্দুল আহেদ, বর্তমানে যিনি সরকারের সমর্থনপ্রাপ্ত এক নেতা। নিহত ওই ৩৩ জনের সঙ্গে খুন হয়েছেন তিনিও।

তবে কোনও জঙ্গিগোষ্ঠী-ই কাবুলের শিয়া মসজিদে হামলার দায় স্বীকার করেনি। গত এক বছরে ব্যাপক ভাবে জঙ্গি হামলার শিকার হয়েছেন আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু শিয়ারা। কাবুল ও অন্যান্য প্রদেশে শিয়া মসজিদগুলোকে বারবার নিশানা করছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এ দিনের কাবুলের ঘটনাতেও তাই সন্দেহের তালিকায় রয়েছে আইএস। বৃহস্পতিবারই কন্দহরের একটি সেনাঘাঁটিতে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল তালিবান। ওই হামলার বলি হয়েছিলেন ৪৩ জন সেনা। রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট বলছে, গত এক সপ্তাহে শিয়া মসজিদ ও শিয়াদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ৮৪ জন নিহত হয়েছেন। জখম হয়েছেন ১৯৪ জন।

প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি বলেন, ‘‘ফের আফগানিস্তানের মাটি রক্তাক্ত করছে জঙ্গিরা। তবে ওরা সফল হবে না।’’ যদিও গত এক সপ্তাহে উল্টো ছবিটাই ধরা পড়েছে। দেশের

বিভিন্ন প্রান্তে অন্তত ১৩০ জন নিহত হয়েছেন তালিবান হামলায়। যাঁদের বেশির ভাগই নিরাপত্তারক্ষী। প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘আসলে তালিবান জঙ্গিরা বুঝিয়ে দিতে চাইছে, ওদের হাতে এখনও যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে।’’

Afghanistan Terrorist Attack আফগানিস্তান Suicide bomb
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy