ইস্তানবুলের শান্তি বৈঠক ভেস্তে যেতেই ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখল কাবুল। তারা স্পষ্ট করে দিল, তাদের যুদ্ধের ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। তারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। শুধু তা-ই নয়, আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের অভিযোগ, শান্তি বৈঠকে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো আচরণ করেছে।
পাকিস্তান ইতিমধ্যেই বৈঠক ফলপ্রসূ না-হওয়ার দায় আফগানিস্তানের উপর চাপিয়েছে। ইসলামাবাদের এ হেন পদক্ষেপ ভাল ভাবে নেয়নি আফগানিস্তান। তালিবান সরকারের মুখপাত্র জ়াবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে কড়া ভাষায় প্রতিবেশী পাকিস্তানকে আক্রমণ শানিয়েছেন। তাঁর দাবি, আফগান প্রতিনিধিরা ‘সৎ বিশ্বাস’ নিয়ে বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। আশা করা হয়েছিল, বৈঠকে ‘গুরুত্বপূর্ণ এবং গঠনমূলক’ আলোচনার। কিন্তু পাকিস্তান আবারও ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং অসহযোগী’ মনোভাব দেখিয়েছে।
তালিবান সরকারের দাবি, ইসলামাবাদ চাইছিল পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বও আফগানিস্তানের উপর চাপুক। কিন্তু এই দাবি আফগানিস্তানের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। নিজেদের ‘ক্ষমতার সীমার মধ্যে’ থেকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক সংঘর্ষের পরে দু’দেশই দফায় দফায় আলোচনায় বসেছিল। গত বৃহস্পতিবার তুরস্কের ইস্তানবুলে তৃতীয় দফায় বৈঠকে ছিল ইসলামাবাদ এবং কাবুলের মধ্যে। কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতায় সেই বৈঠক হয়। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেই বৈঠক অমীমাংসিতই থেকে যায়। তার পরেই শুরু হয় দোষারোপের পালা। পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ জানিয়েছেন, সংঘর্ষবিরতি তত দিনই চলবে, যত দিন আফগানিস্তানের মাটি থেকে পাকিস্তানে আর কোনও হামলা না-হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি এ-ও স্পষ্ট করেন, আরও শান্তিবৈঠকে বসার সম্ভাবনা নেই।
আরও পড়ুন:
প্রতিক্রিয়ায় আফগান মন্ত্রী নূরল্লা নরী পাকিস্তানের উদ্দেশে বলেন, আফগানদের ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না। আফগানিস্তানের বয়স্ক থেকে তরুণ— সকলেই লড়াইয়ের জন্য উঠে দাঁড়াবেন। তাঁরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত।’’ তালিবান সরকারের মুখপাত্র জানিয়েছেন, দু’দেশের মধ্যে সংঘর্ষবিরতি হওয়ার পরে এখনও পর্যন্ত আফগানিস্তান তা ভাঙেনি। আগামী দিনেও তেমনই চলবে বলে জানিয়েছেন জ়াবিহুল্লাহ।