ছবি- রয়টার্স।
আমেরিকার টেক্সাসের স্কুলে হামলা চালানোর আগে বাড়িতে নিজের ঠাকুমাকেও গুলি করেছিল সালভাদর র্যামোস। ইউভালডে হাই স্কুলে স্কুলে গুলিচালনার ঘটনায় ধৃত তরুণের স্কুলজীবন সম্পর্কে খোঁজখবর নিতে গিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এসেছে তদন্তকারী অফিসারদের। তরুণের পরিজন এবং পরিচিত মহলের সঙ্গে কথাবার্তায় তাঁরা জানতে পেরেছেন, সালভাদরের ছোটবেলা খুব একটা সহজ-সরল ছিল না। স্কুলে ছোট থেকেই নিগ্রহের শিকার সে। যা জেরে দীর্ঘ দিন স্কুলেই ঢুকতে পারেনি সালভাদর।
স্কুলে গুলিচালনার ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৮ জন পড়ুয়া-সহ কমপক্ষে ২১ জন। আহত হয়েছেন বহু। কিন্তু কী কারণে স্কুলে ঢুকে পড়ুয়াদের উপর এলোপাথাড়ি গুলি চালাল সালভাদর, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলেই জানাচ্ছেন তদন্তকারীরা। ধৃতের দুই আত্মীয়ের বয়ান তুলে ধরে ‘দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সালভাদর ছোট থেকেই বদরাগী। ছোট থেকে মায়ের মুখে মুখে তর্ক করা, মেজাজ দেখানোর প্রবণতা ছিল তার। তবে সালভাদর যে এমন হিংসাত্মক ঘটনা ঘটাতে পারে, তা বিশ্বাসই হচ্ছে না তার পরিজনদের।
‘ওয়াশিংটন পোস্ট’-এর একটি প্রতিবেদনে দাবি, কথা বলতে গিয়ে তোতলানোর কারণে স্কুলে ছোট থেকেই বন্ধুদের নিগ্রহের শিকার হয়েছে সালভাদর। পরিজনদের দাবি, নিগ্রহের শিকার হয়ে বহু বছর স্কুলছুটও থাকতে হয়েছে তাকে। ওই প্রতিবেদনে সালভাদরের এক বন্ধুকে উদ্ধৃত করে লেখা, ‘এক বছর আগে নেটমাধ্যমে বেশ কয়েকটি স্বয়ংক্রিয় রাইফেলের ছবি পোস্ট করেছিল র্যামোস। লিখেছিল, ওই বন্দুক কিনতে চায় ও। চার দিন আগে নিজের দু’টি রাইফেলের ছবি পোস্ট করেছিল সালভাদর।’ তদন্তকারীরাও মনে করছেন, ছেলেবেলায় বহু পারিবারিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে সালভাদরকে। মা মাদকাসক্ত হওয়ায় সংসারে ঝামেলা লেগেই থাকত। ধৃত তরুণের উপর সেই সব ঘটনার প্রভাব পড়ে থাকতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy