সম্প্রতি গাজ়া ভূখণ্ড পুরোপুরি দখল করে বৃহত্তর ইজ়রায়েল গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন সত্যি করতে তাঁর মন্ত্রিসভা এ বিষয়ে ঘুঁটি সাজাচ্ছে। এই অবস্থায় গাজ়ায় হামলা অব্যাহত রাখল ইজ়রায়েল। রবিবার সকালে গাজ়া সিটির অল-আহলি হাসপাতালে ড্রোন হামলা চালায় ইজ়রায়েলি সেনা। তাতে ৭ জন স্থানীয় বাসিন্দা নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি, দক্ষিণ গাজ়ার মোরাগ সীমান্তে ত্রাণ নিতে গিয়ে ইজ়রায়েলি সেনার হামলার আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গাজ়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, অনাহার ও অপুষ্টিজনিত কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে খেতে না পেয়ে অন্তত ২৫১ জনের মৃত্যু হয়েছে গাজ়ায়।
গাজ়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, সেখানের ২৪ লক্ষ বাসিন্দাকে অনাহারে রেখে, অপুষ্টিতে ভুগিয়ে ধীরে ধীরে মৃত্যুমুখে ঠেলে দেওয়ার যে পরিকল্পনা ইজ়রায়েল সরকার করেছে, তা আসলে পরিকল্পিত গণহত্যা। তাদের দাবি, ১ বছরের কম বয়সি প্রায় ৪০ হাজার শিশু ভয়ঙ্কর অপুষ্টিতে ভুগছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে তাদের মৃত্যু হতে পারে। এ দিকে, প্যালেস্টাইনিদের ভিটেমাটি ছাড়া করার সিদ্ধান্তে অনড় ইজ়রায়েল। সেই উদ্দেশে তারা উত্তর গাজ়ায় অনবরত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। গত কয়েক দিনে হামলার তীব্রতা এতটাই বেড়েছে যে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার ফুরসতটুকুও পাচ্ছেন না বাসিন্দারা।
ইজ়রায়েল সেনার তরফে বলা হয়েছে, উদ্বাস্তু প্যালেস্টাইনিরা যাতে তাঁবুটুকু পান, সেই ব্যবস্থা তারা করবে। এর ফলে প্যালেস্টাইনিরা দক্ষিণ গাজ়ার শরণার্থী শিবির তথা কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে আশ্রয় নিতে পারবেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট বলছে, গাজ়ার ৮৬ শতাংশ ইতিমধ্যে দখল করেছে ইজ়রায়েল সেনা। যেটুকু বাকি রয়েছে, তা নামেই শরণার্থী শিবির। আসলে তা কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত করেছে সেনা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)