E-Paper

ছাদে চড়ার মিনিট কুড়ি পরেই গুলি

ক্রুকসের ল্যাপটপ ও দু’টি ফোনের তথ্য ঘেঁটে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ডেমোক্র্যাট দলের আগামী জাতীয় সম্মেলন সম্বন্ধে সে নিয়মিত খোঁজখবর রাখত।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৪ ০৮:৩৮

—প্রতীকী ছবি।

প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট এবং এ বার রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপরে যে পূর্ব পরিকল্পনামাফিক হামলা চালিয়েছিল পেনসিলভেনিয়ার যুবক, পাঁচ দিন ধরে তদন্তে চালিয়ে সে বিষয়ে এক প্রকার নিশ্চিত এফবিআই। কারণ, হামলার কয়েক দিন আগেই একটি ‘গেম সাইটে’ টমাস ক্রুকস লিখেছিল, ‘১৩ জুলাই আমার ছবির প্রিমিয়ার। দেখতে থাকুন কী হয়।’ তবে এই হামলার উদ্দেশ্য কী, সে বিষয়ে এফবিআই এখনও অন্ধকারে।

ক্রুকসের ল্যাপটপ ও দু’টি ফোনের তথ্য ঘেঁটে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ডেমোক্র্যাট দলের আগামী জাতীয় সম্মেলন সম্বন্ধে সে নিয়মিত খোঁজখবর রাখত। সম্প্রতি ক্রুকস দু’টি ফোন একসঙ্গে ব্যবহার করা শুরু করেছিল বলেও জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তার মধ্যে একটি ফোন সে অনেক দিন ধরেই ব্যবহার করেছে। কিন্তু দ্বিতীয় ফোনটি থেকে অল্প কয়েকটি নম্বরেই বারবার ফোন করা হয়েছে। এই নম্বরগুলি কাদের, তা জানতে তদন্ত চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।

গোয়েন্দা সূত্রে আরও খবর, শনিবার হামলার দিন দুপুর থেকে টমাসের কোনও খোঁজ পাচ্ছিলেন না তার মা-বাবা। সে কথা তখন তাঁরা স্থানীয় পুলিশকেও জানিয়েছিলেন। দুপুর ৩টে থেকে টমাসকে সভাস্থলে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। তার কাছে ব্যাকপ্যাক এবং দূরত্ব পরিমাপক যন্ত্র ‘রেঞ্জফাইন্ডার’ ছিল বলে স্থানীয় পুলিশ, এমনকি সভাস্থলে মোতায়েন সিক্রেট সার্ভিসের চোখেও পড়ে সে। তার ‘সন্দেহজনক’ আচরণ দেখে তাকে ‘পার্সন অব ইন্টারেস্ট’ তালিকাভুক্ত করে স্থানীয় পুলিশ। তার কিছু ক্ষণ পরে মঞ্চের কাছেই একটি মালগুদামের ছাদে চড়তে দেখা যায় টমাসকে। সমবেত জনতার মধ্যেই কয়েক জন তাকে দেখে মোতায়েন নিরাপত্তারক্ষীদের সতর্ক করেন। টমাস যে গুদামঘরের ছাদে উঠে পড়েছে, তা চোখে পড়েছিল পাশের ছাদে মোতায়েন সিক্রেট সার্ভিসের নিরাপত্তারক্ষীরও। কিন্তু টমাসের কাছে যে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল আছে, সে বিষয়ে কোনও আভাস পাননি নিরাপত্তারক্ষীরা। ছাদে চড়ার ২০ মিনিটের মাথায় গুলি ছুড়তে শুরু করে টমাস। একটি গুলি ট্রাম্পের কান চিরে বেরিয়ে যায়। গুলিতে নিহত হন এক জন। জখম আরও দুই। এর পরেই সিক্রেট সার্ভিসের স্নাইপার গুলি করে মারে টমাসকে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

United States Donald Trump

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy