E-Paper

ভূমিকম্প: এখনই কাটছে না আশঙ্কা

মস্কোর দাবি, কম্পনের মূল উৎসস্থলের খুব কাছে হওয়া সত্ত্বেও কোনও ক্ষতি হয়নি ডুবোজাহাজগুলির। বিজ্ঞানীদের একাংশ এ-ও মনে করছেন, এত তীব্র ভূমিকম্পের জেরে ক্লুচেভস্কায়ার ‘রিং অব ফায়ার’-এর অগ্নুৎপাতও হতে পারে আগামী দু’বছরের মধ্যে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২৫ ০৭:৫৩
শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে আছড়ে পড়েছে সুনামিও।

শক্তিশালী ভূমিকম্পের ফলে আছড়ে পড়েছে সুনামিও। —ফাইল চিত্র।

রিখটার স্কেলে ৮.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানি না হলেও সর্বক্ষণ সতর্ক থাকছে রাশিয়া-সহ নানা দেশের প্রশাসন। সুনামির সতর্কতা জারি রয়েছে নিউ জ়িল্যান্ড এবং চিলিতে। প্রশান্ত মহাসাগরের তীরবর্তী অঞ্চলগুলি খালি রাখার নোটিসও জারি রয়েছে। কম্পনের জেরে কামচাটকা উপকূলে থাকা রাশিয়ার ডুবোজাহাজ বেস-এর ক্ষতির আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। যদিও মস্কোর দাবি, কম্পনের মূল উৎসস্থলের খুব কাছে হওয়া সত্ত্বেও কোনও ক্ষতি হয়নি ডুবোজাহাজগুলির। বিজ্ঞানীদের একাংশ এ-ও মনে করছেন, এত তীব্র ভূমিকম্পের জেরে ক্লুচেভস্কায়ার ‘রিং অব ফায়ার’-এর অগ্নুৎপাতও হতে পারে আগামী দু’বছরের মধ্যে।

গত কাল স্থানীয় সময় রাত ৯টার মধ্যে ৯০টিরও বেশি ‘আফটারশক’ বা পরবর্তী কম্পন অনুভূত হয়েছে কামচাটকা উপকূলে। প্রতিটি কম্পনের তীব্রতার মাত্রা ৪ থেকে ৬.৭ ছিল রিখটার স্কেলে। একাধিক বার কম্পনের জেরে বুধবার রাতেই জেগে ওঠে ক্লুচেভস্কায়ার একটি আগ্নেয়গিরি। বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, ভূমিকম্পের তীব্রতায় যদি ‘রিং অব ফায়ার’ জেগে ওঠে, তা হলে সমস্যা আরও গুরুতর হতে পারে। বস্তুত, রাশিয়া থেকে জাপান হয়ে আমেরিকা এবং আন্টার্কটিকা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ একাধিক আগ্নেয়গিরির সমাহার হল এই ‘রিং অব ফায়ার’। প্রশান্ত মহাসাগরের ৪০ হাজার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে এটি। তবে এখনই উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমিকম্পের জেরে যদি কোনও আগ্নেয়গিরি জেগে ওঠে, তা হলেও প্রায় দু’বছর সময় লেগে যায়। এখনও পর্যন্ত এর জেরে বড় কোনও ক্ষতি না হলেও ইনস্টিটিউট অব ভলক্যানোলজি অ্যান্ড সাইসমোলজির বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, পর্যটকেরা যাঁরা আগামী দিনে ঘুরতে আসবেন, তাঁদের সুরক্ষায় যেন কোনও সমস্যা না হয়।

অত্যন্ত শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে রাশিয়ার পরমাণু ডুবোজাহাজ বেস-এর কোনও ক্ষতি হয়েছে কি না, তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন কর্তৃপক্ষের একাংশ। কম্পনের উপকেন্দ্র থেকে মাত্র ১২০ কিলোমিটার দূরে ছিল আভাচা বে। সেখানেই রয়েছে রাশিয়ার পারমাণবিক সম্পদ। প্রাথমিক ভাবে কোনও ক্ষতি না হওয়ার আশ্বাস মিললেও ক্রমাগত ওই জায়গাগুলির উপগ্রহ চিত্রের উপরে নজর রাখছে দেশের সেনা।

বড় কোনও ক্ষতি যাতে না হয়, তাই নাগরিকদের উপকূল অঞ্চল থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে নিউ জ়িল্যান্ড এবং চিলি প্রশাসন। চিলির অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী আলভারো এলিজ়াদে এ দিন জানিয়েছেন, কিছু কিছু জায়গায় ১.১ মিটার কিংবা ২.৫ মিটার পর্যন্ত ছিল ঢেউয়ের উচ্চতা। তবে কলম্বিয়া, ইকুয়েডর এবং পেরু আজ সকালে সুনামির সতর্কতা তুলে নিয়েছে। আমেরিকার ওরেগন এবং ওয়াশিংটনে সুনামির সতর্কতা তুলে নিলেও ক্যালিফোর্নিয়া, আলাস্কা এবং হাওয়াইয়ে তা এখনও কার্যকর রয়েছে। প্রসঙ্গত, ভূমিকম্পের পরে রাশিয়ার সেভেরো-কুরিলস্ক অঞ্চলে ঢেউয়ের উচ্চতা ৬ মিটার পর্যন্ত উঠেছিল বলে সূত্রের খবর। কিন্তু এর জেরে কোনও হতাহতের খবর মেলেনি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Russia Moscow

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy