যুদ্ধ বিধ্বস্ত গাজ়ায় অনাহারে মৃত্যুর সংখ্যা সরকারি ভাবে বেড়ে হল ২১২। তার মধ্যে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে গত ২৪ ঘণ্টায়। ত্রাণের অপেক্ষায় শিবিরের বাইরে সারিবদ্ধ নিরন্ন মানুষের উপরে আজও হামলা চালিয়ে লোক মেরেছে ইজ়রায়েলের সেনা। তাতে মৃত্যু হয়েছে আরও অন্তত ২১ জনের।
গত মে মাস থেকে ‘গাজ়া হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন’ নামে বিতর্কিত সংগঠনের শিবিরের কাছে ইজ়রায়েলি হামলায় ১৩০০-রও বেশি সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ক’দিন আগেই দক্ষিণ গাজ়ায় ত্রাণের খাবারের জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় ‘গাজ়ার পেলে’ বলে খ্যাত ফুটবলার সুলেমান আল-ওবেইদ (৪১) নিহত হয়েছেন এ ভাবেই। ‘গাজ়ার পেলে’র এই মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ফুটবল সংস্থা ‘উয়েফা’।
গত কাল ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা গাজ়া সিটিতে সামরিক অভিযানে অনুমোদন দিয়ে জানিয়েছে, দখল নয়, হামাসের কবল থেকে গাজ়াকে মুক্ত করতে চায় তারা। নতুন পাঁচটি নীতি তারা জানিয়েছে। তার মধ্যে গাজ়ার সীমান্ত পুনর্বিন্যাস, হামাস এবং প্যালেস্টাইনি কর্তৃপক্ষের বিকল্প প্রশাসন প্রতিষ্ঠা প্রভৃতিবিষয় রয়েছে।
হামাসের কাছে পণবন্দি হয়ে থাকা ইজ়রায়েলিদের পরিবার এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয়েছে ইতিমধ্যেই। চূড়ান্ত বিপর্যস্ত প্যালেস্টাইনের লক্ষ লক্ষ মানুষ এতে আরও বিপদের মুখে পড়বেন বলে রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেস উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে রবিবার রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা বিষয়ক পরিষদ আলোচনার জন্য বৈঠকে বসবে বলে খবর সূত্রের।
চিন, তুরস্ক, ব্রিটেনের মতো বিভিন্ন দেশও ইজ়রায়েলের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। জার্মানি, ইটালি, নিউ জ়িল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রীরা যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করে ইজ়রায়েলের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছেন। তাঁরা বলেছেন, পণবন্দিদের জীবন এতে আরও ঝুঁকির মুখে পড়ে যাবে। লঙ্ঘিত হতে পারে আন্তর্জাতিক মানবতা আইন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)