১৯০৫-এ পাবলো পিকাসোর আঁকা ফের্নান্দ ওলিভিয়ের এই প্রতিকৃতি রয়েছে নিউ ইয়র্কের গুগেনহাইম মিউজ়িয়ামে।
পাবলো পিকাসোর মৃত্যুর ৫০ বছর পূর্ণ হবে আগামী এপ্রিলে। প্যারিসের পিকাসো মিউজ়িয়ামে সেই উপলক্ষে শুরু হল প্রদর্শনী। একাধিক প্রদর্শনী থাকবে। তার প্রথমটিতে রয়েছে পিকাসোর প্রথম বান্ধবী ফের্নান্দ ওলিভিয়ের কথা। ওলিভিয়ের স্মৃতিচারণার পাতা আর পিকাসো এবং তাঁর সহশিল্পীদের আঁকা ছবি ও ভাস্কর্য দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে মঁমার্তের পিকাসো মিউজ়িয়ামের প্রদর্শনীকক্ষ।
ওলিভিয়ের লেখার সূত্রে উঠে আসছে বিতর্কও। বান্ধবীদের সঙ্গে পিকাসোর সম্পর্কের জটিলতার কথা ফিরে আসছে আলোচনায়। মিউজ়িয়ামের ডিরেক্টর সেসিল দেব্রে অবশ্য বলছেন, আজকের মিটু-র চশমা দিয়ে পুরনো সময়কে বিচার করা ঠিক নয়। এটা ঠিকই, ওলিভিয়ে লিখেছেন পিকাসো ছিলেন ভীষণ ঈর্ষাপরায়ণ। বাড়ি থেকে বেরোলে ওলিভিয়েকে তালা-চাবি বন্ধ করে তবেই বেরোতেন। রাতে কাজ করার সময় পিকাসোর খেয়াল রাখা তাঁর অবশ্যকর্তব্য থাকত। সেসিল তবু বলছেন, ওলিভিয়েকে শুধুই ভিক্টিম বা পীড়িতা হিসাবে দেখলে তাঁকে অসম্মানই করা হয়। পিকাসোর সঙ্গে অনেক ভাল সময়ও কাটিয়েছেন তিনি। ১৯০৪-১২, আট বছর ওঁরা একসঙ্গে ছিলেন। বাড়িতে বন্ধ করে রাখার সময়েও পিকাসো যে তাঁর জন্য চা-বই গুছিয়ে রেখে যেতেন, সে কথাও বলতে ভোলেননি ওলিভিয়ে। তাঁর পূর্বজীবন ছিল অসংখ্য আঘাত এবং ঝড়ঝাপটায় ঘেরা। বাবা-মা তাঁকে ত্যাগ করেছিলেন। বিয়ে দেওয়া হয়েছিল এক অত্যাচারীর সঙ্গে। সেখান থেকে পালিয়ে পিকাসোকেই অনেক বেশি নরম, অনেক বেশি ভালবাসার বলে মনে হয়েছিল।
সম্পর্ক শেষ হওয়ার কুড়ি বছর পরে ‘পিকাসো আর তাঁর বন্ধুরা’ নামে বইটি লিখেছিলেন ওলিভিয়ে। পিকাসো আটকাতে চেষ্টা করেছিলেন সে বই। পারেননি। তবু সেসিলের দাবি, পিকাসোকে আজকাল যে ভাবে প্রায় দৈত্য বলে দেখানোর চল হয়েছে, সেটা ঠিক নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy