Advertisement
০৭ মে ২০২৪
India Maldives Relationship

মলদ্বীপ ‘গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু’! ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের মাঝে বার্তা আমেরিকার

মলদ্বীপের নতুন শাসক মহম্মদ মুইজ্জু বরাবর চিনপন্থী হিসাবে পরিচিত। ক্ষমতায় আসার পরে প্রথমেই তিনি চিন সফর সেরে এসেছেন। চিন থেকে মলদ্বীপকে দেওয়া ঋণের পরিমাণও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

(বাঁ দিকে) মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (ডান দিকে)।

(বাঁ দিকে) মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:৫৯
Share: Save:

ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু দেশ মলদ্বীপ। ভারতের পড়শিকে এমন ভাবেই ব্যাখ্যা করল আমেরিকা। বৃহস্পতিবার তারা জানিয়েছে, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকাকে মুক্ত, নিরাপদ এবং সুরক্ষিত রাখতে মলদ্বীপের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষিণ এশিয়ার এই দ্বীপরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতার বন্ধন দৃঢ় করতে বদ্ধপরিকর ওয়াশিংটন।

সম্প্রতি আমেরিকার দক্ষিণ এবং মধ্য এশিয়ায় দায়িত্বে থাকা সহকারী সচিব ডোনাল্ড লু মলদ্বীপ সফরে গিয়েছিলেন। গত নভেম্বরেই মলদ্বীপে নতুন সরকার ক্ষমতায় এসেছে। সেই নতুন শাসকের সঙ্গে কথাবার্তা, দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্যই আমেরিকার প্রতিনিধি হিসাবে গিয়েছিলেন ডোনাল্ড। প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জুর সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি। তাঁর গত ২৯-৩০ জানুয়ারির মলদ্বীপ সফর প্রসঙ্গে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের মুখপাত্র বলেন, ‘‘মলদ্বীপের সঙ্গে সহযোগিতা আরও দৃঢ় করতে আমেরিকা আগ্রহী। ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় মলদ্বীপ আমাদের গুরুত্বপূর্ণ বন্ধু।’’

মলদ্বীপে আমেরিকার কোনও দূতাবাস এখনও পর্যন্ত তৈরি হয়নি। তা তৈরির কাজ চলছে। দূতাবাস দ্রুত গড়ে তোলার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে দুই রাষ্ট্রের।

উল্লেখ্য, মলদ্বীপের নতুন শাসক মুইজ্জু বরাবর চিনপন্থী হিসাবে পরিচিত। ক্ষমতায় আসার পরে প্রথমেই তিনি চিন সফর সেরে এসেছেন। ভারতের সঙ্গেও এই দ্বীপরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে গত কয়েক মাসে। এই পরিস্থিতিতে মলদ্বীপের আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সম্প্রতি একটি রিপোর্ট পেশ করেছে বিশ্ব অর্থভান্ডার আইএমএফ। তারা মলদ্বীপকে সতর্ক করে জানিয়েছে, ঋণের দায়ে ফেঁসে যেতে পারে মুইজ্জু সরকার। ঋণ নেওয়ার নিরিখে তারা ‘বড় ঝুঁকি’র মধ্যে রয়েছে। উল্লেখ্য, মলদ্বীপকে দেওয়া ঋণের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে চিন। আইএমএফ চিনের নাম না করেই দ্বীপরাষ্ট্রটিকে সতর্ক করেছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লক্ষদ্বীপ সফরকে কেন্দ্র করে মলদ্বীপের মন্ত্রীদের অবমাননাকর মন্তব্য ভারতের সঙ্গে এই পড়শি দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়েছে। মুইজ্জু মলদ্বীপের মাটি থেকে ভারতের সেনা সরিয়ে নিতেও বলেছেন। বেঁধে দিয়েছেন সময়। এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার সঙ্গে মলদ্বীপের ঘনিষ্ঠতা ভারতের পক্ষে আশার, না হতাশার, তার উত্তর দেবে সময়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE