রাজপ্রাসাদেই নাকি ভূত-দর্শন হয়েছে তাঁর। নাহ! ভূত-ভবিষ্যত গুলিয়ে ফেলেননি। যথেষ্ট সচেতনভাবেই ভূতের সঙ্গে তাঁর দিন কাটানোর কথা বলেছেন সুইডেনের রানি সিলভিয়া।
একটা দু’টো নয়, বেশ কিছু বন্ধু ভূতের সঙ্গেই নাকি তাঁর রোজকার বসবাস, এমনটাই বললেন খোদ রানি। শুধু তাই নয়, এই ভূতেদের ‘খুবই ভাল ভূত’ বলেও সম্বোধন করলেন সিলভিয়া। কিন্তু হঠাৎ ভূতেদের নিয়ে এত মাথা ব্যথা কেন রানির?
সম্প্রতি সুইডেনের রাজভবন ড্রটনিংহম প্রাসাদের উপরে একটি তথ্যচিত্র নির্মিত হচ্ছে। সুইডেনের রাজধানী স্টকহমের কাছে লভন দ্বীপে ষোড়শ শতকে নির্মিত হয়েছিল এই প্রাসাদ। এই প্রাসাদেই রাজপরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে থাকেন রানি সিলভিয়া ও তাঁর স্বামী ষোড়শ কার্ল গুস্তাফ। ড্রটনিংহম প্যালেসের উপর নির্মিত তথ্যচিত্রটি শুটিংয়ের সময়ই একটি সাক্ষাৎকারে সিলভিয়া বলেন, ‘‘এই প্রাসাদে অনেক খুদে বন্ধু আছে। এটা খুবই উত্তেজনার বিষয়। তবে এতে ভয়ের কিছু নেই।’’
আরও পড়ুন: হেসেখেলেই সুস্থ জীবন কাটাচ্ছেন শতায়ু এই যমজ বোন
রানি সিলভিয়া ও তাঁর স্বামী ষোড়শ কার্ল গুস্তাফ
৭৩ বছরের রানি জানান, ওই প্রাসাদে থাকলে নাকি অনুভব করা যায় যে সেখানে কেউ একা নন। তবে সেখানকার ভূতেদের ‘বন্ধুসুলভ’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। রানি সিলভিয়া একা নন। রাজা কার্ল গুস্তাফের বোন প্রিন্সেস ক্রিস্টিনাও রানির বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন। ক্রিস্টিনা বলেন, ‘‘প্রাসাদের মধ্যে অনেক শক্তির উপস্থিতি অনুভব করা যায়।’’
ড্রটনিংহম প্রাসাদ সারা বছরই দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে। তবে যে অংশটায় রাজপরিবারের সদস্যরা থাকেন, সেই অংশটিতে সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার নেই। তা হলে কি রাজাবাড়ির ‘রাজকীয়’ ভূতেরা রাজা-রানির সঙ্গে প্যালেসের ওই অংশটিতেই থাকেন? উত্তর পেতে চাইলে যেতে হবে ড্রটনিংহম-এ।
(ছবি: সংগৃহীত)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy