টমাস হিলি।
ট্রাক বা ট্রেলার বস্তুটি কী, ছোটবেলায় খুব একটা ধারণা ছিল না তাঁর। বাড়ির বিভিন্ন সরঞ্জাম মাঝমধ্যেই ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হত। সেটা তিনি দেখেছেন। সেখান থেকেই গাড়ির প্রতি মনে মনে একটা আকর্ষণ তৈরি হচ্ছিল তাঁর মধ্যে। সেই আকর্ষণকেই ধীরে ধীরে প্যাশনে তৈরি করে ফেলেছিলেন আমেরিকার পিটসবার্গের বছর আঠাশের টমাস হিলি। আজ সেই প্যাশন-ই তাঁকে বিশ্বের অন্যতম কনিষ্ঠ আরবপতিদের তালিকায় স্থান করে দিয়েছে।
টমাস হিলি, বয়স ২৮। পেশায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়র। শখ বলতে রেসিং কার চালানো। বেশির ভাগ সময়ই রেসিং ট্র্যাকে সময় কাটিয়েছেন। হিলি বলেন, “সে সময় ইলেকট্রিক গাড়ি বাজারে নিয়ে আসার চিন্তাভাবনা শুরু করেছে টেসলা। গাড়িতে ইলেকট্রিক প্রযুক্তি যদি ব্যবহার করা যায়, তা হলে ট্রাকে কেন নয়? অন্য সংস্থাগুলো যখন ইলেকট্রিক গাড়ি নিয়ে চিন্তা করছে, তখন ইলেকট্রিক ট্রাকের ভাবনাটা মাথায় আসে। আর সেটাকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা শুরু করি।”
ধীরে ধীরে একটা সংস্থাও তৈরি করে ফেলেন হিলি। সাল ২০১৫। নাম দেন হিলিয়ন ইঙ্ক। হিলি জানান, ধীরে ধীরে তাঁর সংস্থা পরিচিতি পেতে শুরু করে। তার পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। টরটয়েজ অ্যাকুইজিশন সংস্থার সঙ্গে চুক্তি হয় হিলিয়াম ইঙ্ক-এর। যুগ্ম এই সংস্থার বর্তমান নাম হিলিয়ন হোল্ডিংস কর্প।
আরও পড়ুন: কফিন খুলতেই বেরিয়ে এল ২৫০০ বছরের পুরনো মমি!
বিশ্ববাজারে নামতেই হিলিয়ন হোল্ডিংস কর্প-এর শেয়ার দর বাড়তে শুরু করে। গত শুক্রবার টরটয়েজ সংস্থার শেয়ারের দর ৩০০ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়ায় হিলির মোট সম্পত্তির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর এর ফলেই এক ধাক্কায় বিশ্বের কনিষ্ঠতম আরবপতিদের তালিকায় উঠে এসেছেন হিলি। তবে সবটাই যে কঠোর পরিশ্রমের ফল, এমনটা মানছেন না হিলি। ভাগ্যও সঙ্গ দেওয়ায় আজ এই জায়গায় পৌঁছতে পেরেছেন বলে দাবি তাঁর। ট্রাকের দুনিয়ায় একটা বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনাই তাঁর সংস্থার একমাত্র লক্ষ্য বলেই জানান হিলি। আর তা নিয়ে কাজও করতে শুরু করেছে তাঁর সংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy