প্রতীকী ছবি
পাকিস্তানের করাচি বন্দরে নোঙর ফেলল চিনা নৌবহর। শনিবার পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভির তিনটি যুদ্ধজাহাজ করাচিতে পৌঁছেছে। পাক নৌসেনার সঙ্গে বেশ কিছু যৌথ কর্মসূচিতে অংশ নেবে চিনের নৌবরহটি। খবর ইসলামাবাদ সূত্রের। আরব সাগরে চিন ও পাকিস্তানের নৌসেনা যৌথ মহড়া দিতে পারে বলেও খবর। পাক সংবাদমাধ্যম ও চিনের সংবাদ সংস্থা জিনহুয়া জানিয়েছে, চার দিন করাচিতে থাকবে চিনের রণতরীগুলি।
আরও পড়ুন: কাতারে পাঁচ বিমান বোঝাই খাবার পাঠাল ইরান
করাচি বন্দরে গতকাল, শনিবার নোঙর ফেলেছে চিনা যুদ্ধজাহাজগুলি। চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মি নেভির যে নৌবহরটি পাকিস্তানে পৌঁছেছে, তার কম্যান্ডার শেন হাও বলেছেন, ‘‘এই সফর দু’দেশের মধ্যে বোঝাপড়া আরও বাড়াবে। সেই সঙ্গে পারস্পরিক বিশ্বাসযোগ্যতা এবং বন্ধুত্বের সম্পর্ককে আরও উন্নত করবে।’’ পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক এবং সহযোগিতা আরও নিবিড় করাই যে এক মাত্র লক্ষ্য নয়, লক্ষ্য যে ভারতের উপর চাপ বাড়ানোও, সে বিষয়ে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা একমত। সম্পাহখানেক আগেই চিনা নৌসেনার তিনটি যুদ্ধজাহাজকে কোচি বন্দরে ঢোকার অনুমতি দিতে ভারত দেরি করেছিল। ইচ্ছাকৃত নয়াদিল্লি দেরি করছে বলে চিন অভিযোগ করেছিল। কোচি যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করে চিনা রণতরীগুলি সে যাত্রায় শেষ পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার কলম্বো বন্দরে চলে যায়। এ বার চিনা নৌবহর ঢুকল পাকিস্তানের করাচি বন্দরে।
চিনা সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, চিন-পাক সামরিক সহযোগিতা আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে নির্দিষ্ট কিছু কর্মসূচি নিয়ে পাকিস্তানে গিয়েছে চিনা রণতরীগুলি। পাক নৌসেনার প্রধান অ্যাডমিরাল মহম্মদ জাকাউল্লার কথায়— চিনা নৌসেনার এই পাকিস্তান সফর দু’দেশের নৌসেনার মধ্যে সমন্বয় আরও বাড়াবে। চিনা নৌসেনার তরফে অ্যাডমিরাল জাকাউল্লাকে গার্ড অব অনারও দেওয়া হয়েছে। চিন ও পাক নৌসেনার এই প্রশিক্ষণ তথা রণকৌশল আদান-প্রদান কর্মসূচি যে হেতু আরব সাগরের বুকেই পালিত হবে, তাই গোটা বিষয়টির দিকে সতর্ক নজর রাখছে ভারতীয় নৌসেনাও। চিন-পাক যৌথ কর্মসূচির প্রতিটি পর্বের দিকেই লক্ষ্য রাখা হচ্ছে বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy