যাতে সন্ত্রাসের মদতদাতা দেশগুলির তালিকায় পাকিস্তানের নামটা না ঢুকে যায়, তাই তড়িঘড়ি ‘আশ্রিত’ ৫ হাজার জঙ্গির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিল ইসলামাবাদ। পাক সরকারের দাবি, এর ফলে, অন্তত ৩০ লক্ষ ডলার অর্থ আর থাকল না পাকিস্তানে ঘাঁটি গেড়ে থাকা জঙ্গিদের হাতে। সন্ত্রাসবাদী ও নাশকতামূলক কার্যকলাপ চালাতে সমর্থক ও বিভিন্ন সমমনোভাবাপন্ন সংগঠনের দেওয়া অর্থ জঙ্গিদের ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছিল।
ঘটনাচক্রে, জুলাইয়েই স্পেনে বৈঠকে বসছে ফাইনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স। বিশ্বের নানা প্রান্তের নানা দেশে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন কী ভাবে, কতটা আর্থিক মদত পাচ্ছে, তার ওপর নজর রাখে ৩৫টি দেশকে নিয়ে গড়া ওই টাস্ক ফোর্স।
তবে পাক সরকারের এই অভিযান সত্যিই পুরোপুরি সফল হবে কি না, তা নিয়ে কিছুটা সংশয় প্রকাশ করেছেন ইসলামাবাদের পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অফ পিস স্টাডিজের অধিকর্তা মহম্মদ আমির রাণা। তাঁর কথায়, ‘‘যাতে পাকিস্তানের মাটিতে আশ্রয় নেওয়া সব জঙ্গি আর তাদের প্রকাশ্যে ও গোপনে থাকা সব সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করা যায়, তার ওপর বেশি করে নজর দিতে হবে ইসলামাবাদকে। না হলে জঙ্গি বা তাদের সংগঠনগুলিকে দেওয়া আর্থিক মদতের রাশ পুরোপুরি টেনে ধরা যাবে না।’’
আরও পড়ুন- দক্ষিণ চিন সাগরে সমরসজ্জা মানব না, চিনকে বার্তা আমেরিকার
কিন্তু ইসলামাবাদের জিন্না ইন্সটিটিউটের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হাসান আকবর বলছেন, ‘‘জঙ্গিদের আর্থিক মদত বন্ধে পাক সরকার অনেক কিছুই করছে। যে ছোট ও মাঝারি শিল্পপতি, ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জঙ্গিরা নিয়মিত অর্থ পেত, তাদের সতর্ক বা গ্রেফতার করা হয়েছে। আরও বেশি করে তাঁদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। কিন্তু সমস্যাটা অন্য জায়গায়। তা হল, ওই অর্থটা জঙ্গিদের হাতে আসছে দুবাই ও আমেরিকায় থাকা তাদের সমর্থকদের কাছ থেকেও।’’