Advertisement
E-Paper

ট্রাম্পের মুখে শি-র বন্দনা, মোদীরও

আর ভিয়েতনামের মাটিতে পা রাখার পরে এশিয়া প্যাসিফিক ইকনমিক কোঅপারেশন (অ্যাপেক)-এর শীর্ষ সম্মেলনে ভারত আর তার প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করলেন ট্রাম্প।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৩৩
সন্ত্রাসবাদী হানার পরেও রাজনীতির চশমা চোখ থেকে খুলতে পারছেন না ট্রাম্প। বলছে সোশ্যাল মিডিয়া। ছবি: এএফপি।

সন্ত্রাসবাদী হানার পরেও রাজনীতির চশমা চোখ থেকে খুলতে পারছেন না ট্রাম্প। বলছে সোশ্যাল মিডিয়া। ছবি: এএফপি।

বন্ধুত্বের সুরেই শুরু হয়েছিল প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর প্রথম চিন সফর। সেই সৌহার্দ্যের বার্তা দিয়েই বেজিং ছাড়লেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভিয়েতনামে উড়ে যাওয়ার আগের মুহূর্তেও চিনা প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের প্রশংসা মাখানো টুইট করতে ভুললেন না। লিখলেন, ‘‘শি একজন অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। দেশের মানুষের তিনিই যোগ্য প্রতিনিধি। ম্যাডাম পেং আর ওঁর সঙ্গে কাটানো সময় সত্যিই দারুণ ছিল।’’

আর ভিয়েতনামের মাটিতে পা রাখার পরে এশিয়া প্যাসিফিক ইকনমিক কোঅপারেশন (অ্যাপেক)-এর শীর্ষ সম্মেলনে ভারত আর তার প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করলেন ট্রাম্প। ভিয়েতনামের ডা নাংয়ে বসেছে এ বারের অ্যাপেক সম্মেলন। বিশ্বনেতাদের সেই বৈঠকে ট্রাম্প বলেছেন, ‘‘বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের উন্নয়ন অসাধারণ।’’ তার পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রসঙ্গ টানেন তিনি। বলেন, ‘‘দেশের মানুষকে একত্র করতে উনি সফল ভাবে কাজ করছেন।’’

এক দিকে মোদীর মুখে যখন ভারতের প্রশংসা, তখন নয়া মার্কিন প্রতিরক্ষা আইনেও (ন্যাশনাল ডিফেন্স অথরাইজেশন অ্যাক্ট, ২০১৮) ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় করার কথা বলা হয়েছে। পেন্টাগনকে মার্কিন কংগ্রেস নেতারাও অনুরোধ করেছেন, তারা যেন নয়াদিল্লির সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলে। কারণ ওয়াশিংটন মনে করছে, ভারতের সাহায্য ছাড়া আফগানিস্তানে সন্ত্রাসবাদ দমন অভিযানে সাফল্য পাওয়া সম্ভব নয়। আর এই মুহূর্তে দক্ষিণ এশিয়ায় স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেও ভারতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে আমেরিকা।

বেজিং ছাড়ার আগে চিনের সঙ্গে বাণিজ্যিক আর উত্তর কোরিয়া নিয়ে আলোচনা সফল হয়েছে বলে দাবি করে একটি টুইট করেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু অ্যাপেকের মঞ্চেই ফের চিনা বাণিজ্য নীতির বৈষম্য নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। ট্রাম্প বেজিং ছাড়ার পর পরই চিনা বাণিজ্যিক সংস্থাগুলিতে বিদেশি লগ্নির উর্ধ্বসীমা বাড়ানোর ইঙ্গিতও দিয়ে রেখেছে চিন সরকার। আমেরিকা আর পশ্চিমী দেশগুলো দীর্ঘদিন চিনের এই বাণিজ্য নীতির সমালোচনা করে এসেছে। কিন্তু বেজিংয়ের এই আশ্বাসের পরেও ট্রাম্প তাতে গলেননি খুব একটা। বাণিজ্যিক ভাবে আমেরিকার সঙ্গে কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করলে তারা ছাড় পাবে না বলে আজ ভিয়েতনামে আবার হুঙ্কার দিয়েছেন তিনি।

ট্রাম্প-শি-র নতুন সমীকরণ দু’দেশের সম্পর্কের নয়া ‘নীল নকশা’ তৈরি করেছে বলে আজ দাবি করেছে চিনা সরকারি দৈনিক গ্লোবাল টাইমস। পিয়ংইয়ংয়ের অন্যতম আর্থিক সঙ্গী বেজিং রাষ্ট্রপুঞ্জের কথা মতো উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়ে রেখেছে।

Donald Trump ডোনাল্ড ট্রাম্প China Narendra Modi APEC Summit Xi Jinpin নরেন্দ্র মোদী শি চিনফিংয়
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy