Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

শাটডাউন, ট্রাম্প খাওয়ালেন বার্গার

সীমান্তে দেওয়াল তোলা নিয়ে ক্রমাগত বাগড়া দিচ্ছে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস। যার জেরে আমেরিকায় শাটডাউন আজ পা রাখল ২৪তম দিনে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তবু অনড়ই।

অভ্যর্থনা: টেবিলে খাবার সাজিয়ে প্রস্তুত। হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এএফপি

অভ্যর্থনা: টেবিলে খাবার সাজিয়ে প্রস্তুত। হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এএফপি

সংবাদ সংস্থা 
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:২৫
Share: Save:

তাঁর মাথায় ঘুরছে মেক্সিকো, আবার ম্যাকডোনাল্ডসও!

সীমান্তে দেওয়াল তোলা নিয়ে ক্রমাগত বাগড়া দিচ্ছে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস। যার জেরে আমেরিকায় শাটডাউন আজ পা রাখল ২৪তম দিনে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তবু অনড়ই। কাল দিনভর বিঁধলেন ডেমোক্র্যাটদের। আর সন্ধে হতেই ম্যাকডোনাল্ডস থেকে বার্গার আনিয়ে জমিয়ে ফিস্টি করলেন হোয়াইট হাউসে। যা নিয়ে প্রশ্নও উঠল! ট্রাম্প তবু ট্রাম্পেই। সটান বলে দিলেন, ‘‘শাটডাউনের জন্যই তো অর্ডার করে ফাস্ট ফুড আনাতে হল। ভালই হল। আশা করি এ বার আমি বোঝাতে পারলাম যে, দেশে কোথাও কোনও সমস্যা নেই।’’

শাটডাউনের জেরে বেতন বন্ধ প্রায় ৮ লক্ষ ফেডারেল সরকারি কর্মচারীর। একই হাল হোয়াইট হাউসের আবাসিক কর্মীদের। কেটারিং সামলানোর লোক যে বেশির ভাগই ছুটিতে! জাতীয় স্তরে কলেজ ফুটবল চ্যাম্পিয়ন ক্লেমশন টাইগার্স টিমকে হোয়াইট হাউসে ডেকে প্রেসিডেন্ট তাই নিজেই নৈশভোজের আয়োজন করলেন। কী ছিল মেনুতে? কাল কার্যত রেস্তরাঁর চেহারা নেওয়া স্টেট ডাইনিং রুমে দাঁড়িয়ে ট্রাম্পই জানালেন— ৩০০টা বার্গার, পিৎজ়া আর প্রচুর ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। তবে সরকারি অর্থে নয়। প্রেসিডেন্টের কথায়, গাঁটের কড়ি খরচ করেই খাবার আনিয়েছেন। কত খরচ হল, তা অবশ্য জানা যায়নি।

মাপা আয়োজন। খাবার এল ছোট্ট, ছোট্ট প্যাকেটে। আর প্রতি প্যাকেটের উপর প্রেসিডেন্টের নিজস্ব নিরাপত্তা সিল। এত কড়াকড়ি! প্রশ্ন উঠতেই ফের দেওয়ালের প্রসঙ্গ আনলেন প্রেসিডেন্ট। বললেন, ‘‘যে যা-ই বলুক। দেশবাসীর নিরাপত্তার স্বার্থে পিছু হটার কোনও প্রশ্নই নেই।’’

বৈঠকি মেজাজে প্রেসিডেন্টকে সামনে পেয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলেন, এ সবের মধ্যে কোনটা তাঁর সব চেয়ে প্রিয়। টিভি ক্যামেরার সামনে একাধিক বার চিজ় বার্গার নিয়ে বসতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এ দিন যেন রাজনৈতিক প্রচারের ঢঙেই প্রেসিডেন্ট বললেন, ‘‘আমেরিকায় তৈরি যখন, সবই আমার প্রিয়।’’

হাউসের স্পিকার তথা ডেমোক্র্যাট নেত্রী ন্যান্সি পেলোসি এই প্রাচীর-প্রস্তাবকে গোড়া থেকেই ‘অনৈতিক’ বলে তোপ দেগে আসছেন। কাল তাঁকেই নিশানা করে ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমার দেখা সব চেয়ে বড় প্রাচীর রয়েছে ভ্যাটিকান সিটির চারপাশে। নিশ্চয়ই আপনারা বলবেন না যে, পোপ ফ্রান্সিস থেকে শুরু করে ওখানে যাঁরা থাকেন, সবাই অনৈতিক! ওঁদের আছে যখন, আমাদের প্রাচীর নিয়ে আপত্তি কেন!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE