Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

‘এক চিনে’ আপত্তি! পাল্টা চাপ ট্রাম্পকে

তাইওয়ান নিয়ে ফের টানাপড়েন! চিনের সঙ্গে প্রায় চার দশকের পুরনো সমঝোতা বদলের ইঙ্গিত দিয়ে আবারও বিতর্কে জড়ালেন মার্কিন প্রেসি়ডেন্ট-ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

সংবাদ সংস্থা
ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০২:৪১
Share: Save:

তাইওয়ান নিয়ে ফের টানাপড়েন!

চিনের সঙ্গে প্রায় চার দশকের পুরনো সমঝোতা বদলের ইঙ্গিত দিয়ে আবারও বিতর্কে জড়ালেন মার্কিন প্রেসি়ডেন্ট-ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গত কাল মার্কিন এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, বাণিজ্য-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে চিনের তরফে বাড়তি ছাড় না পেলে তাইওয়ানের বিষয়ে বেজিংকে সমর্থন দেওয়ার কোনও কারণ দেখছেন না তিনি। যা নিয়ে পাল্টা তোপ দেগেছে চিনও। বেজিংয়ের সরকারি সংবাদমাধ্যম এখন সরাসরি বলছে, ‘‘ট্রাম্প যদি সত্যিই ‘এক চিন’ নীতি থেকে সরে আসেন আর তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে সওয়াল করে সেখানে অস্ত্র বিক্রি শুরু করে দেন, তা হলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে আমাদেরও কোনও দায় থাকবে না।’’

চিন তাইওয়ানকে নিজেদেরই অংশ বলে দাবি করে। আর চিনের ‘এক দেশ নীতি’ সমর্থন করেই ১৯৭৯ সালে তাইওয়ানের সঙ্গে যাবতীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে আমেরিকা। কিন্তু ট্রাম্প যেন প্রথম থেকেই তাইওয়ানের পাশে। ধারাবাহিক ভাবে চিনকে চটাতেও দ্বিধা করছেন না তিনি। গত কালের সাক্ষাৎকারে চিনের মুদ্রানীতি ও দক্ষিণ চিন সাগরে আধিপত্য কায়েমে বেজিংয়ের কর্মকাণ্ডেরও কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।

এর আগে রীতি ভেঙে তাইওয়ানের প্রেসি়ডেন্ট সাই ইঙ্গ-ওয়েনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। চলতি মাসের শুরুতে তিনি নিজেই সেই ফোনালাপের বিষয়টি প্রকাশ্যে আনেন। টুইটারে জানান, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় তাঁকে অভিনন্দন জানাতেই ফোন করেছিলেন তাইওয়ানের প্রেসি়ডেন্ট। কিন্তু চিন তাতে ঘোরতর আপত্তি তোলে। গত কাল অবশ্য ট্রাম্প এ নিয়ে কোনও রকম রাখঢাক না রেখেই বলেন, ‘‘আমি কার সঙ্গে কথা বলব, সেটাও কি চিন ঠিক করে দেবে নাকি!’’

কিন্তু ট্রাম্পের এই হঠাৎ তাইওয়ান-প্রীতি কেন? চিনকেই বা দফায় দফায় বাউন্সার কীসের! মার্কিন কূটনীতিকদের দাবি, বেজিংকে চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড় করিয়ে ট্রাম্প আসলে আমেরিকার জন্য বাড়তি সুবিধা আদায়েই কোমর বাঁধছেন। যদিও মার্কিন প্রেসি়ডেন্ট-ইলেক্টের এই ‘ব্যবসায়িক বুদ্ধির’ তীব্র প্রতিবাদ করেছে বেজিং। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম বলছে, ‘‘ট্রাম্প ভাবেন সব কিছুই কেনা-বেচা যায়। কিন্তু উনি জানেন না যে, এই ‘এক চিন’ নীতি কোনও মূল্যেই বিক্রি হওয়ার নয়।’’

বেজিংয়ের দাবি, তাদের ‘এক চিন’ নীতির কারণেই স্থিতাবস্থা কায়েম রয়েছে তাইওয়ানে। কিন্তু ট্রাম্প যদি সেই নীতি বাতিল করেন? হুমকি দেওয়ার মতো করেই চিন জানিয়েছে, এক গুচ্ছ বিকল্প নীতি তাদের আগে থেকেই ভাবা আছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Donald Trump China One China
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE