Advertisement
E-Paper

শরণার্থী আইন পাল্টাতে গিয়ে ধাক্কা ট্রাম্পের

যে যেখান থেকে আসুক, যে ভাবে আসুক— আমেরিকায় আশ্রয় চাইলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। সোজা ভাষায় এ ভাবেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিবাসন আইনের রদবদলে সাময়িক ধাক্কা দিলেন সান ফ্রান্সিসকোর ফেডারেল বিচারক। 

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৮ ০২:৩১
আসন্ন: ‘ক্রিসমাস ট্রি’ এসে পৌঁছল হোয়াইট হাউসে। এএফপি

আসন্ন: ‘ক্রিসমাস ট্রি’ এসে পৌঁছল হোয়াইট হাউসে। এএফপি

যে যেখান থেকে আসুক, যে ভাবে আসুক— আমেরিকায় আশ্রয় চাইলে তাকে ফিরিয়ে দেওয়া যাবে না। সোজা ভাষায় এ ভাবেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিবাসন আইনের রদবদলে সাময়িক ধাক্কা দিলেন সান ফ্রান্সিসকোর ফেডারেল বিচারক।

আমেরিকার দক্ষিণ সীমান্ত থেকে বেআইনি ভাবে শয়ে শয়ে মানুষ এ দেশে ঢুকতে চাইলেও গত ৯ নভেম্বর ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, বৈধ কাগজ ছাড়া কাউকে আশ্রয় দেওয়ার প্রশ্নই নেই। তাঁর সেই নির্দেশনামা অনুযায়ী, কেউ অবৈধ ভাবে আমেরিকায় ঢুকে আশ্রয় চাইলেও পাবেন না। মধ্য আমেরিকা থেকে মেক্সিকো দিয়ে যে হাজার হাজার শরণার্থীর ক্যারাভান আমেরিকায় ঢোকার চেষ্টা করছে, তারা জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক বলে নির্দেশনামায় জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

আজ ফেডারেল বিচারক জন এস টাইগার নয়া সিদ্ধান্তে ফের কোণঠাসা ট্রাম্প। বিচারক বলেছেন, ‘‘প্রেসিডেন্টের এক্তিয়ারে থাকুক বা না থাকুক, নতুন একটা শর্ত চাপিয়ে তিনি অভিবাসন আইন সংস্কার করতে পারেন না। বিশেষত যাতে মার্কিন কংগ্রেসেরও সায় নেই।’’ এর পরেই বিচারকের সংযোজন, এই নয়া নিয়ম কার্যকর হলে সীমান্তে হিংসা ও অন্য ধরনের বড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন শরণার্থীরা। বিচারকের নয়া নির্দেশের জেরে আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত ট্রাম্পের নির্দেশনামা আর খাটছে না। ওই দিন ফের শুনানির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

মার্কিন সিভিল লিবার্টিজ় ইউনিয়ন একে নিজেদের জয় হিসেবে দেখছে। সংস্থার প্রতিনিধি বলেছেন, ‘‘ট্রাম্পের নিষেধ বেআইনি। অসংখ্য জীবনকে বিপন্ন করা। কারও আশ্রয় চাওয়ার অধিকার এ ভাবে সরাসরি ফিরিয়ে দেওয়া যায় না।’’

বিচারকের আজকের সিদ্ধান্তের পরে ট্রাম্প প্রশাসনের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। অভিবাসন নিয়ে প্রেসিডেন্টের কিছু ক্ষেত্রে নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আছে ঠিকই। কিন্তু কর্নেল ল স্কুলের অভিবাসন সংক্রান্ত গবেষক স্টিফেন ইয়েলোয়ার বলেছেন, সেই ক্ষমতার আবার সীমাও রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘ট্রাম্প প্রশাসন যে রকম একবগ্গা ভাবে অভিবাসন আইন পাল্টে দিতে উঠেপড়ে লেগেছিল, সেই প্রচেষ্টায় বিচারকের নয়া নির্দেশ অবশ্যই বড় ধাক্কা দিল। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য বিষয়টি হয়তো যাবে সুপ্রিম কোর্টেই।’’

মার্কিন অভিবাসন আইন অনুযায়ী, আমেরিকার মাটিতে কোনও বিদেশি পা রাখলে তিনি আশ্রয়ের জন্য আবেদন জানাতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ফেরত পাঠাতে পারে না প্রশাসন। অ্যাসাইলাম অফিসারের সঙ্গে তাঁকে ইন্টারভিউয়ে বসতে হয়। শরণার্থীর সংখ্যা বিপুল হওয়ায় অধিকাংশকেই পরবর্তী হাজিরার দিন বলে ছেড়ে দেওয়া হয়।

গত অক্টোবরেই পরিবার-সহ ২৩,১২১ জন শরণার্থীকে সীমান্তে আটক করা হয়।

Donald Trump refugee illegal migrants
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy