উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে চিনকে উসকে দেওয়া গেল। আবার কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা এড়াতে চিন যে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, যেন তাকেও কিছুটা মান্যতা দেওয়া হল। এই ভাবেই কৌশলে চিন ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে দূরত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বেজিংয়ের হুঁশিয়ারির পরেও শনিবার পিয়ংইয়ং-এর আন্তর্জাতিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ফের চেষ্টাকে কড়া সমালোচনায় বিঁধে তাঁর টুইটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘আজ ফের ওই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে চিনের সদিচ্ছাকে উপেক্ষা করল পিয়ংইয়ং। চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিং চাননি, উত্তর কোরিয়া ওই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করুক। তা সত্ত্বেও পিয়ংইয়ং তাঁকে উপেক্ষা করল।’’
ট্রাম্পের সেই টুইট
শনিবার খুব ভোরে দক্ষিণ পিয়ংইয়ং প্রদেশের পুকচাংয়ের কাছে ওই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া। যদিও সেই পরীক্ষা ব্যর্থ হয়। ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটি উৎক্ষেপণের পরেই ভেঙে পড়ে। দক্ষিণ কোরিয়া সরকার ও হোয়াইট হাউসের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে। মার্কিন সেনাবাহিনীর প্যাসিফিক (প্রশান্ত মহাসাগরীয়) কম্যান্ড জানিয়েছে, উৎক্ষেপণের পর এ দিন ক্ষেপণাস্ত্রটি উত্তর কোরিয়ার আকাশ-সীমান্ত পেরোতে পারেনি। পিয়ংইয়ং-এর এ দিনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কড়া সমালোচনা করেছে দক্ষিণ চিন সাগরে দখলদারির প্রশ্নে চিনের ‘শত্রু’ জাপানও। টোকিওর বক্তব্য, এই ভাবে রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদকেও অগ্রাহ্য করেছে উত্তর কোরিয়া।
আরও পড়ুন- দাউদের অবস্থা সঙ্কটজনক বলে খবর, গুজব বলে ওড়ালেন ছোটা শাকিল
কী ভাবে তার জবাব দেওয়ার কথা ভাবছে আমেরিকা?
হোয়াইট হাউসের এক পদস্থ কর্তার কথায়, ‘‘এর ফলে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর হবে। আর সেই প্রক্রিয়াটি আরও ত্বরান্বিত হবে।’’ গত শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জেও উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জোরালো দাবি জানিয়েছে ওয়াশিংটন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy