Advertisement
১৯ মে ২০২৪

টিউব ধর্মঘটে বেহাল লন্ডন

রাস্তায় নেমেছে মানুষের ঢল। না কোনও উৎসব নয়। সৌজন্যে ২৪ ঘণ্টার টিউব রেলের ধর্মঘট। ফলে চিরচেনা লন্ডনেরই যেন আজ অন্য এক রূপ। রাতে টিউব পরিষেবা নিয়ে কর্মচারীদের গোলমালের জেরেই এমন হাল।

ভিক্টোরিয়া স্টেশনের বাইরে বাসের জন্য লম্বা লাইন। বৃহস্পতিবার।

ভিক্টোরিয়া স্টেশনের বাইরে বাসের জন্য লম্বা লাইন। বৃহস্পতিবার।

সংবাদ সংস্থা
লন্ডন শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৫ ০৩:২২
Share: Save:

রাস্তায় নেমেছে মানুষের ঢল। না কোনও উৎসব নয়। সৌজন্যে ২৪ ঘণ্টার টিউব রেলের ধর্মঘট। ফলে চিরচেনা লন্ডনেরই যেন আজ অন্য এক রূপ। রাতে টিউব পরিষেবা নিয়ে কর্মচারীদের গোলমালের জেরেই এমন হাল।

বৃহস্পতিবার প্রায় কুড়ি হাজার কর্মচারী ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তার জেরে গোটা দিন বন্ধ ছিল টিউব। তাতেই স্তব্ধ গোটা লন্ডন।

যাতায়াতের অন্যতম প্রধান মাধ্যম এই ভূগর্ভস্থ টিউব। লন্ডনের প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষের ভরসা ওই রেল। দিনের ব্যস্ত সময়ে প্রায় ৫৩৫টি ট্রেন চালান টিউব রেল কর্তৃপক্ষ। আজ তা বন্ধ থাকার ফলে পাতাল ছেড়ে লন্ডনবাসী রাস্তায় উঠে আসতে বাধ্য হয়েছেন।

টিউব বন্ধ থাকলে উপায়? অফিস বা কাজের জায়গায় পৌঁছতে তাই অন্যান্য যানবাহনই ভরসা। এ দিন কেউ নিজের গাড়িতে, কেউ বা বাসে চড়েই অফিস পৌঁছেছেন।

আর ধর্মঘটের সঙ্গে যুঝতে তৈরি হয়েছিল বাস এবং ফেরি পরিষেবা। তবে ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে তাদের।

তবে ধর্মঘটের বাজারে শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে পৌঁছতে বেশির ভাগ লন্ডনবাসীই আগে থেকে বুক করেছিলেন ট্যাক্সি। আর এমন দিনে সুযোগ বুঝে ট্যাক্সি চালকরাই হেঁকে বসেছেন অত্যধিক ভাড়া। তা দেখে রীতিমতো মাথায় হাত লন্ডনবাসীর। ট্যাক্সি নিয়ে জেরবার এমনই এক যাত্রী বলেছেন, ‘‘৩১ ডিসেম্বর রাতেও এত ভাড়া চায় না, যা আজ চাইছে।’’

অনেকেই উপায়ান্তর না দেখে চড়ে বসেছেন বাসে। দিনের ব্যস্ত সময়ে বাসস্টপগুলিতেও উপচে পড়েছে সাধারণ মানুষের ভিড়। জায়গায় জায়গায় গাড়ি ধরার লাইন। আর যাঁরা নিজের গাড়ির উপর ভরসা করে বেরিয়ে পড়েছিলেন, তাঁদেরও জেরবার হতে হয়েছে। তীব্র যানজটের জেরে অফিস পৌঁছতেও দেরি হয়েছে তাঁদের। আবার যাঁদের নিজস্ব গাড়ি নেই বা ভিড় এড়াতে চেয়েছেন, তাঁরাও এ দিন নিজের সাইকেলে করেই বেরিয়ে পড়েছিলেন। তবে এ রকম পরিস্থিতিতে অনেকেই রাস্তায় বেরোতে সাহস করেননি।

টিউব রেলের রোজকার যাত্রী টোনি ক্লার্ক নামে এক রেডিও প্রযোজক। এ দিন ওই পরিষেবা বন্ধ থাকায় নাজেহাল তিনিও। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, পূর্ব লন্ডনের গ্রিনিচ থেকে নিজের গন্তব্যে পৌঁছতে তিনি টেমসের ফেরি পরিষেবাই বেছে নিয়েছিলেন। তবে তা নিয়েও সন্তুষ্ট নন টোনি। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘‘এই পরিস্থিতিতে সকালেই উঠে বেরিয়ে পড়েছিলাম। বেরিয়ে দেখি, বাসগুলিতে ভয়ঙ্কর ভিড়। পা রাখার জায়গা পর্যন্ত নেই। তা-ই দেখে ফেরি পরিষেবাই বেছে নিয়েছিলাম। কিন্তু এর পরেও মনে হচ্ছে, পৌঁছতে অনেকটাই দেরি হয়ে যাবে।’’

ভোগান্তির দুই ছবি। এএফপি-র ক্যামেরায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tube strike London live travel bus train
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE