ইউরোপ, এশিয়ার পরে এ বার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘নজর’ আফ্রিকায়। রোয়ান্ডা এবং ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক কঙ্গো (ডিআরসি)-র মধ্যে দীর্ঘ সীমান্ত সংঘর্ষে ইতি টানার বিষয়ে ঐকমত্য হল শুক্রবার।
ট্রাম্প সরকারের বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো গত এপ্রিল থেকেই রোয়ান্ডা এবং কঙ্গোর মধ্যে সংঘর্ষবিরতি কার্যকর করতে কূটনৈতিক তৎপরতা শুরু করেছিলেন। অবশেষে তা ফলপ্রসূ হল। ওয়াশিংটনের এই সাফল্যের ফলে মধ্য আফ্রিকায় চিনের প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টা ধাক্কা খাবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
রোয়ান্ডার সঙ্গে কয়েক বছর ধরেই সীমান্ত বিরোধ চলছে ডিআরসির। সম্প্রতি রোয়ান্ডার মদতপুষ্ট সশস্ত্র গোষ্ঠী এম-২৩ দখল নিয়েছিল ডিআরসির দু’টি শহর-সহ বেশ কিছু এলাকার। তাদের পিছনে চিনের মদত রয়েছে বলেও অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে ডিআরসির প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি সরাসরি মধ্যস্থতার বার্তা পাঠিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে। প্রসঙ্গত, রোয়ান্ডা সীমান্ত লাগোয়া ডিআরসি ভূখণ্ডে মজুত রয়েছে দুনিয়ার অর্ধেকের বেশি কোবাল্ট ও কোল্টন। এ ছাড়া সোনা, তামা এবং লিথিয়ামের মতো খনিজ সম্পদের বিরাট ভান্ডার রয়েছে সেখানে। আর বিদ্রোহীদের কাজে লাগিয়ে চিন তা দখলে আনতে চাইছে বলে অভিযোগ। এ বার আমেরিকার হস্তক্ষেপে শান্তিচুক্তির ফলে বেজিংয়ের সেই উদ্যোগ ধাক্কা খাবে বলেই মনে করা হচ্ছে।