লন্ডনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি নাইজেল ফারাজ। সোমবার রয়টার্সের তোলা ছবি।
ব্রেক্সিটেই মুক্তি!
ব্রিটেনের ইন্ডিপেন্ডেন্স পার্টির (ইউকিপ) শীর্ষ পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন ব্রেক্সিটপন্থী নেতা নাইজেল ফারাজ। ‘স্বাভাবিক’ জীবনে ফিরতে চান বলে আজই ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। এর আগে ২০১৫-য় দেশে সাধারণ নির্বাচনের পরে দল থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেও মত বদলেছিলেন ফারাজ। কিন্তু এ বার প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকেও সরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত তাঁর কথায়।
ব্রেক্সিট রায় মেনে নিয়ে তড়িঘড়ি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন ইইউ-পন্থী কনজারভেটিভ নেতা ডেভিড ক্যামেরন। কিন্তু ফারাজও কেন সে পথে হাঁটলেন? ইস্তফার পরেই তিনি বলেন, ‘‘গণভোটের প্রচারে গিয়ে বলেছিলাম— দেশকে ফিরে পেতে চাই। আজ বলছি— আমি আমার আগের জীবনটা ফিরে পেতে চাই।’’
২৩ জুন ইইউ ছাড়ার পক্ষেই ৫২ শতাংশ ভোট পড়েছিল। যার অর্থ, গত ৮ বছর ধরে ইউকিপ-এর নেতা হিসেবে ফারাজ যা চেয়েছিলেন, সে দিকেই ঝুঁকেছে ব্রিটেন। ফারাজ জানান, এটাই তাঁর বড় তৃপ্তির জায়গা। তাঁর কথায়, ‘‘আমি শুধু নিজের দায়িত্বটাই পালন করেছি। রাজনীতি করাটা আমার লক্ষ্য ছিল না। আমি শুধু চেয়েছিলাম, ইইউ থেকে ব্রিটেনকে বের করে আনতে।’’ তাই নিজের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সফল হওয়ার পাশাপাশি, ব্রেক্সিট-পরবর্তী সময়ে দলের ভিতও আরও জোরদার হয়েছে বলে দাবি করেছেন ফারাজ।
কিন্তু এ বার তাঁর জায়গায় কে আসবেন? ফারাজ সাফ জানিয়েছেন, তাঁর কোনও ব্যক্তিগত পছন্দ নেই। কিন্তু দল যদি তাঁকে ছাড়তে না চায়? গত বছর সাধারণ নির্বাচনে কোস্টাল কেন্ট আসনে হেরে যাওয়ার পরে তিনি নিজে দল ছাড়তে চাইলেও দলীয় কর্মীদের চাপে ফিরে আসেন। কিন্তু এ বারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলেই জানিয়েছেন ফারাজ। সূত্রের খবর, দলে শীর্ষ নেতা বাছার কাজ এরই মধ্যে শুরু করে দিয়েছে ইউকিপ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy