তিন বছর ধরে চলে আসা যুদ্ধে সবচেয়ে বড় হামলার মুখে পড়ল ইউক্রেন! রবিবার সন্ধ্যা থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ইউক্রেনের উপর আছড়ে পড়েছে ৩৫৫টি রুশ ড্রোন। ৯টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনের বায়ুসেনা জানিয়েছে, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এটিই ইউক্রেনের উপর সবচেয়ে বড় ড্রোন হামলা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স অনুসারে, এর আগে ইউক্রেনে এক রাতে সর্বাধিক ২৯৮টি ড্রোন হামলা চালিয়েছিল রুশ বাহিনী।
ইউক্রেনের উপর ধারাবাহিক ভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের উপর ঘন ঘন আছড়ে পড়ছে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন। রাশিয়ার এই হামলা দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাকে আরও জটিল করে তুলছে। সম্প্রতি তুরস্কের ইস্তানবুলে কোনও মধ্যস্থতাকারী ছাড়াই আলোচনায় বসেছিল রাশিয়া এবং ইউক্রেন। ওই বৈঠকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না হলেও দু’পক্ষই পর্যায়ক্রমে ১০০০ জন করে যুদ্ধবন্দি বিনিময়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ইতিমধ্যে দু’দেশই সেই শর্ত পূরণ করেছে। তবে এরই মধ্যে ইউক্রেনের উপর হামলাও চালিয়ে গিয়েছে রুশ বাহিনী। এমনকি ইউক্রেনের রাজধানী কিভেও পর পর দু’রাত (শুক্র এবং শনিবার) আকাশপথে হামলা চালিয়েছে রুশ সেনা।
রুশ হানা নিয়ে আমেরিকা কেন চুপ রয়েছে, তা নিয়ে রবিবারই প্রশ্ন তুলেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, “আমেরিকা এবং অন্য দেশগুলির নীরবতা পুতিনকে আরও উৎসাহ জোগাচ্ছে।” ঘটনাচক্রে, জ়েলেনস্কির ওই পোস্টের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে নিশানা করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, “রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আমার সব সময়ই খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। কিন্তু তিনি এখন কেমন একটা হয়ে গিয়েছেন। তিনি বদ্ধ উন্মাদ হয়ে গিয়েছেন।” ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, পুতিন যদি পুরো ইউক্রেন পেতে চান, তবে তা রাশিয়ার ‘পতনের’ কারণ হবে।
আরও পড়ুন:
রবিবারই রাশিয়া জানিয়েছিল, তারা পূর্ব ইউক্রেনের ডনেৎস্কের একটি গ্রাম রোমানিভকা দখল করে নিয়েছে। ইউক্রেনের অন্তর্গত হলেও ডনেৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলে রুশ জাতিগোষ্ঠীই সংখ্যাগরিষ্ঠ। দীর্ঘ দিন ধরেই সেখানে সক্রিয় মস্কোপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলি।