রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ‘হত্যার চেষ্টা’ করেছে ইউক্রেন! এ বার এমনটাই দাবি করলেন জনৈক রুশ কমান্ডার। অভিযোগ, গত ২০ মে কুর্স্কে ইউক্রেনের হামলার মূল লক্ষ্যবস্তু ছিল পুতিনের হেলিকপ্টার। কিন্তু রুশ বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার তৎপরতায় প্রেসিডেন্ট পৌঁছোনোর আগেই ড্রোনটিকে ধ্বংস করায় প্রাণে বেঁচেছেন পুতিন!
আরও পড়ুন:
একজন রুশ সামরিক কর্তাকে উদ্ধৃত করে রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা আরবিসি দাবি করেছে, গত ২০ মে কুর্স্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলার ‘কেন্দ্রস্থলে’ ছিল পুতিনের হেলিকপ্টারটি। রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিটের কমান্ডার ইউরি দাশকিনের কথায়, ‘‘২০ মে পুতিনের কুর্স্ক সফরের সময় ইউক্রেন থেকে একটি অভূতপূর্ব বিমান হামলা চালানো হয়েছিল। প্রেসিডেন্টের বিমান ওখানে পৌঁছোনোর আগেই ড্রোনগুলিকে চিহ্নিত করে ধ্বংস করে দেয় রাশিয়ার বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ৪৬টি ড্রোন।’’ রুশ কমান্ডার সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, গত ২০ থেকে ২২ মে-র মধ্যে ইউক্রেনের বড়সড় ড্রোন হামলার শিকার হয়েছিল রাশিয়া। দেশের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার তৎপরতায় তিন দিনে মোট ১,১৭০টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়।
দাশকিন আরও বলেন, ‘‘এ কথা উল্লেখ করা উচিত যে কুর্স্ক ভূখণ্ডের উপর দিয়ে সুপ্রিম কমান্ডার-ইন-চিফের বিমান ওড়ার সময় আক্রমণের তীব্রতা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। অতএব, সে সময় আকাশসীমায় প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য ছিল।’’ উল্লেখ্য, গত সপ্তাহের শুরুতেই কুর্স্কে গিয়েছিলেন পুতিন। মার্চ মাসের পর থেকে ওই অঞ্চলে এটাই ছিল তাঁর প্রথম সফর। তবে তাঁর সফরে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কোনও ক্ষয়ক্ষতিরও খবর পাওয়া যায়নি। তবে, এই ঘটনার পর থেকে ইউক্রেনীয় ড্রোনের সক্ষমতা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে রাশিয়ার। পুতিনকে হত্যার জন্যই কিভের তরফে পরিকল্পনা করে ওই হামলাটি চালানো হয়েছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।