ভারতকে পাশে চায় জ়েলেনস্কির দেশ। ছবি: টুইটার।
রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের আবহেই এ বার ভারতের সমর্থন চাইল ইউক্রেন! যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে ‘দীর্ঘস্থায়ী শান্তি’র খোঁজে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভায় একটি প্রস্তাব আনতে চলেছে ভলোদিমির জ়েলেনস্কির দেশ। সেই প্রস্তাবে সমর্থন জানানোর জন্য ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে ফোন করেন জ়েলেনস্কির সচিবালয়ের প্রধান আধিকারিক আন্দ্রেই ইয়ারমাক।
ইউক্রেন এবং অন্যান্য ন্যাটো গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির পারস্পরিক আলোচনার ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে এই প্রস্তাবের খসড়া। কিছু দিনের মধ্যেই রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার জরুরি অধিবেশনে পেশ করা হবে এই প্রস্তাবটি। ইতিমধ্যেই ফ্রান্স এবং জার্মানির মতো ইউরোপীয় দেশগুলি এই প্রস্তাবে সমর্থন জানানোর কথা বলেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ভারতের প্রভাব এবং গুরুত্বের কথা মাথায় রেখেই নয়াদিল্লির সমর্থন পেতে চাইছে ইউক্রেন।
যদিও ইউক্রেনের বিদেশ মন্ত্রকের কর্তাদের একাংশ মনে করছেন, সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে যায়, এমন কোনও প্রস্তাবে সায় দেবে না ভারত। তাই প্রস্তাবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া কোনও শব্দ প্রয়োগ করাও হয়নি। সপ্তাহ দুয়েক আগেই মস্কোয় গিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসেছেন ডোভাল। আমেরিকা এবং পশ্চিমি বিশ্বের আপত্তিকে অগ্রাহ্য করেই ‘জাতীয় স্বার্থ’কে অগ্রাধিকার দিয়ে রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার।
গত এক বছরে রাষ্ট্রপু়ঞ্জে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আনা একাধিক প্রস্তাব নিয়ে ভোটাভুটি চলার সময় ভোটদানে বিরত থেকেছে ভারত। তবে ভৌগোলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্বের মতো যে বিষয়গুলি রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদে রয়েছে, সেগুলির প্রতি ভারত যে শ্রদ্ধাশীল, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে নয়াদিল্লির তরফে। ইয়েরমাক এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, তাঁরা রাশিয়ার কোনও ভূখণ্ড দখল করেননি। কিন্তু রাশিয়া ইউক্রেনের যে ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে, সেগুলো আবার ইউক্রেনের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি। এ বিষয়ে ভারতের তরফে সমর্থন মিলবে বলে আশাবাদী জ়েলেনস্কি প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy