ফাইল ছবি।
ব্যাঙ্কের সঙ্গে মূল সার্ভারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন। অচল এটিএম। দেশের ইন্টারনেট পরিষেবাও থমকে। বন্ধ সরকারি কাজকর্ম। বৃহত্তম সাইবার হানার কবলে পড়ল ইউক্রেন। সন্দেহের তির রাশিয়ার দিকে।
শিয়রে দাঁড়িয়ে রাশিয়া। যে কোনও মুহূর্তে হামলা হতে পারে। আপৎকালীন তৎপরতায় জনজীবন যতটুকু পারা যায় গুছিয়ে নেওয়ার মরিয়া চেষ্টা ইউক্রেনে। এটিএমের সামনে লম্বা লাইন। কিন্তু আচমকাই অচল সবকিছু। মোবাইলে ইন্টারনেট আছে কিন্তু তা দিয়ে কোনও কাজ করা যাচ্ছে না। এমনকি, স্তব্ধ দেশের প্রতিরক্ষা দফতরের সরকারি ওয়েবসাইটও। একাধিক ব্যাঙ্কে মূল সার্ভারের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন। এ যাবৎকালের বৃহত্তম সাইবার হানার মুখে পড়ল ইউক্রেন। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে হ্যাকের পিছনে রয়েছে পুতিনের দেশ।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা দফতর জানিয়েছে, তাদের ওয়েবসাইটেও হানা হয়েছে। ফলে কোনও ভাবেই তাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারছেনা না কেউ। এই ধরনের সাইবার হানাকে পরিভাষায় বলা হয় ‘ডিট্রিবিউটেড ডিনায়াল অব সার্ভিস (ডিডিওএস)’। এর আগেও একাধিকবার ইউক্রেনে সাইবার হানা চালিয়েছে রাশিয়া বলে জানা যাচ্ছে। কিন্তু এ বারে সাইবার হানার ব্যাপ্তি আরও ব্যাপক।
এ দিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র জানান, দক্ষিণ ও পশ্চিম প্রদেশের সেনা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট মহড়া শেষ হওয়ায় তারা নিজ নিজ ঘাঁটিতে ফিরে যাচ্ছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একটি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, তাদের বাহিনী ইউক্রেন সীমান্ত ছাড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে ঠিক বাহিনীর কত অংশ সরছে তার হিসেব দেয়নি পুতিন সরকার। এই ঘটনায় যুদ্ধের উত্তেজনা খানিকটা হলেও কমেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু ইউক্রেনে এমন সাইবার হানা ফের একবার উত্তেজনার পারদ চড়াতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy