Advertisement
E-Paper

কনভয়ে হামলার ঘটনায় রাশিয়াকে দুষছে আমেরিকা

সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী নয়, রাষ্ট্রপুঞ্জের কনভয়ে হামলার পিছনে রাশিয়ারই হাত দেখছে আমেরিকা। সোমবার আলেপ্পোর কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে গিয়ে বিমান হামলার মুখে পড়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের ১৮টি ট্রাক।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:৩৫
ত্রাণবাহী ট্রাকে হামলা। ছবি: রয়টার্স।

ত্রাণবাহী ট্রাকে হামলা। ছবি: রয়টার্স।

সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠী নয়, রাষ্ট্রপুঞ্জের কনভয়ে হামলার পিছনে রাশিয়ারই হাত দেখছে আমেরিকা। সোমবার আলেপ্পোর কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিতে গিয়ে বিমান হামলার মুখে পড়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের ১৮টি ট্রাক। সেই হামলার ঠিক আগে আলেপ্পোর আকাশে দু’টি রুশ সুখোই বিমান দেখা গিয়েছিল বলে আজ দাবি করেছেন দুই মার্কিন সেনা কর্তা। সরকারি ভাবে কিছু না জানালেও, পেন্টাগনেরও তেমনটাই ইঙ্গিত। মস্কো যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। এমনকী প্রথমে বিষয়টিকে ‘নিছক দুর্ঘটনা’ বলে হামলার তত্ত্বও মানতে চায়নি তারা। পরে অবশ্য রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রক আলাদা বিবৃতি দিয়ে জানায়, হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরাই।

প্রমাণ কী? মস্কোর দাবি, হামলার আগে ও পরের সবটাই ধরা পড়েছে তাদের ড্রোন-ক্যামেরায়। তাতে নাকি অনেক ক্ষণ কনভয়ের পিছু নিতে দেখা গিয়েছে আইএস জঙ্গিদের। যে সম্ভাবনা আজ বানচাল করেছেন পেন্টাগনের মুখপাত্র ক্যাপ্টেন জেফ ডেভিস। তাঁর কথায়, ‘‘মার্কিন সেনা জোট, রাশিয়া কিংবা সিরীয় সেনা— হামলা যে কেউ করে থাকতে পারে। কিন্তু আমাদের বিমান আলেপ্পোর আকাশে ওড়ে না। ওখানে জঙ্গিদের অস্তিত্বই নেই। তাই সিরীয় সেনা আর রাশিয়াকেই জবাব দিতে হবে।’’

বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরির সঙ্গে কথা বলেছেন রুশ কর্তারা। অভ্যন্তরীণ তদন্তও শুরু করেছে মস্কো। তবে সূত্রের খবর, কনভয়টি আলেপ্পোর বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অংশে ঢোকার পর কোনও ড্রোন-ফুটেজ মেলেনি।

জুতসই প্রমাণ না থাকায় রাশিয়াও দোষারোপের পথে। শনিবার সিরিয়ার দেইর আল জৌর শহরে মার্কিন বিমান হামলায় ৬২ জন সিরীয় সেনার মৃত্যু হয়েছিল। তার থেকে নজর ঘোরাতেই ওয়াশিংটন কনভয়ে হামলার পিছনে রাশিয়াকে দুষছে বলে মত তাদের।

হামলার পিছনে যে-ই থাক, ‘কাপুরুষোচিত এই যুদ্ধাপরাধের’ জেরে সিরিয়ায় ত্রাণ পাঠানো বন্ধই রাখতে চাইছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। যুদ্ধবিরতি বানচালের পরে সিরিয়া তাই অাধাঁরে। কাল রাতেও আলেপ্পোর কাছে খান তুমান গ্রামের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিমান হামলার খবর মিলেছে। মারা গিয়েছেন চার স্বাস্থ্যকর্মী। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, হামলায় ভবনের তিনটি তলাই ধুলোয় মিশে গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপে এখনও আটকে বহু। সিরিয়ায় গত এক বছরে শুধু স্বাস্থ্যকেন্দ্রেই ১৩৫টি হামলা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) দাবি, স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যও সব চেয়ে বিপজ্জনক দেশ এখন সিরিয়া।

আমেরিকা সিরিয়া থেকে যুদ্ধবিরতি ওঠার কথা মানতে নারাজ। একই অবস্থান রাশিয়ার। শুক্রবার ফের সব পক্ষের আলোচনার ইঙ্গিত দিয়েছেন জন কেরি।

UN Russia Relief convoy Syria
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy